গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
গত সোমবার করোনা সংক্রমণে মৃত প্রৌঢ়ের সৎকার নিয়ে আপত্তি তোলে নিমতলা শ্মশান সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি ছিল, করোনায় আক্রান্ত প্রৌঢ়ের দেহ পোড়ানো হলে ওই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়বে। এনিয়ে পুলিসের সঙ্গে তাঁদের হাতাহাতিও হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে লাঠিচার্জ করতে হয় পুলিসকে। এনিয়ে বিতর্কও তৈরি হয়। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা এড়াতেই মেয়র এদিনের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন।
মেয়র আগামী কয়েকদিন পুরকর্মী-আধিকারিকদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যাঁরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের নিরাপত্তার ব্যাপারে যেন কোনও খামতি না থাকে। সবরকম সুরক্ষা ব্যবস্থা রাখতে হবে। সেইমতো মাস্ক ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। স্বাস্থ্য, জঞ্জাল সাফাই, জল সরবরাহের মতো বিভাগগুলিতে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁদের জন্য শহরে যে বিভাগের যেখানে অফিস রয়েছে, তার পাশেই অস্থায়ী রান্নাঘর তৈরি করতে নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র। ফিরহাদ হাকিম পরে বলেন, কলকাতা পুরসভার কর্মীরা পুলিসের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। জরুরি পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে পুরকর্মীরা দিনভর কাজ করছেন। তবে সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে হবে।
পরিস্থিতি যেদিকে এগচ্ছে, তাতে প্রশাসন আরও কঠোরভাবে মানুষকে ঘরবন্দি করতে চায়। এমনকী, ক্রেতারা যখন দোকানে যাবেন, তখন যাতে তাঁদের সঙ্গে বিক্রেতাদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় থাকে, তার জন্য সুরক্ষা-বৃত্ত আরও বেশি করে আঁকতে চলেছে পুর প্রশাসন। বুধবার থেকে কলকাতা পুলিস এই পদক্ষেপ নিয়েছে। সেই পথে হেঁটে পুরসভা স্থির করেছে, এই কাজে তিন হাজার পুরকর্মীকে নামানো হবে। যাঁরা দোকান বা অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দোকানের সামনে সুরক্ষা-বৃত্ত এঁকে দেবেন। শহরের সব রাস্তাতেই এই কাজ হবে। একইসঙ্গে, রাস্তার ফুটপাতে যাঁরা থাকেন, তাঁদের নাইট শেল্টারে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেয়র জানিয়েছেন, ফুটপাতে কোনও মানুষ থাকবেন না। তাঁদের নিরাপত্তার দায়িত্ব প্রশাসনের। প্রত্যেককে নাইট শেল্টারে থাকার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এদিন মেয়রের বৈঠকের আগে অবশ্য ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ করোনা সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক করেন।