পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন জেলবন্দি এক অভিযুক্ত ফোন করে তার এলাকায়। ঘটনাচক্রে তার বাড়ি জেলের খুব কাছে। সেখান থেকে সেই ফোন পাওয়ার পরই ১০-১৫ জন যুবক বাইকে চড়ে আসে। তাদের প্রত্যেকের হাতে ওয়ানশটার আগ্নেয়াস্ত্র ছিল। তারা বাইরে থেকে ভিতরে এই আগ্নেয়াস্ত্র ছুঁড়ে দিয়েছিল। জানা যাচ্ছে, ২৫-৩০টির মতো আগ্নেয়াস্ত্র সেদিন গিয়েছে সংশোধনাগারের ভিতরে। তার সঙ্গে ফেলা হয়েছিল মোবাইল ও টাকা। পাশাপাশি, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের অ্যাকাউন্টেও ঘটনার আগে টাকা পাঠানো হয়েছে। গোটা কাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে এই জেলে থাকা ২৬ জন মাওবাদী বন্দিকেই সন্দেহ করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে সিআইডি রিপোর্টে বলা হয়েছে, একজন সাধারণ অপরাধীর পক্ষে এরকম কৌশলগতভাবে হামলার পরিকল্পনা নেওয়া সম্ভব নয়। মাওবাদীরা দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনার পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এবং বিচারাধীন বন্দিদের একজোট করে এই অশান্তি চালায়।
এদিকে, শনিবার দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে ধুন্ধুমার কাণ্ডের জেরে বুধবার পর্যন্ত মোট ৪৫ জন বন্দিকে সেখান থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সংশোধনাগারে স্থানান্তর করা হলো। ওই বন্দিদের মধ্যে রয়েছে কিছু কুখ্যাত সাজাপ্রাপ্ত দাগি আসামিও। জেল সূত্রে খবর, দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের অধীনে থাকা মহিলা সংশোধনাগার থেকেও ৫ মহিলা বন্দিকে অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। সোমবারের পর থেকে সংশোধনাগারে নতুন করে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও সেখানকার পরিবেশ এখনও থমথমে রয়েছে। জেল চত্বরে এখনও মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্র পুলিস বাহিনী।