কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
বারাসত থেকে প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, লকডাউনকে উপেক্ষা করে রাস্তায় পা রাখা শহরবাসীকে ঘরে ফেরাতে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সক্রিয় ছিল পুলিস। বারাসত, বসিরহাট ও বনগাঁ মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে এদিন পুলিস ও র্যা ফ কোথাও লাঠি চালায়, কোথাও হুমকি দিয়ে মানুষকে ঘরে ঢোকাতে বাধ্য হয়। বেশ কয়েকজন দোকানদার, অটো চালক ও টোটা চালককে আটক করা হয়। পরে সতর্ক করে ছেড়েও দেওয়া হয়। তবে পুলিস লাঠি চালানোর কথা অস্বীকার করে জানিয়েছে, লকডাউন যাতে সর্বত্র কার্যকর হয় তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হয়েছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যার মতোই এদিন সকালে বারাসত, বনগাঁ ও বসিরহাট মহকুমার বিভিন্ন বাজারে কেনাকাটা করতে মানুষের ভিড় জমে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য যেমন মানুষ বাইরে বেরিয়েছিলেন, তেমন অনেকেই উৎসাহের বসে বাড়ির বাইরে বের হন। এদিন স্থানীয়ভাবে ভিড়ের খবর পেলেই পুলিস, র্যা ফ ও কমব্যাট ফোর্সের জওয়ানরা রে রে করে তেড়ে গিয়েছেন। বসিরহাট শহরে এদিন অটো ও টোটো রাস্তায় নামে। পুলিস কড়া পদক্ষেপ নেয়। একইভাবে বনগাঁ শহর, বারাসত ও মধ্যমগ্রামেও পুলিস কড়া হাতে মোকাবিলা করে। বারাসতের পুলিস সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, লকডাউন না মানা তিন জন দোকানদারকে আটক করা হয়েছে। বসিরহাটের পুলিস সুপার কঙ্করপ্রসাদ বারুই বলেন, লকডাউন না মানা বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছিল। লকডাউন নিশ্চিত করতে পুলিস সমস্ত রকমভাবে চেষ্টা করছে।
বারাকপুর থেকে প্রতিনিধি জানাচ্ছেন, অপ্রয়োজনে বাড়ি থেকে বের হওয়া ও রাস্তায় জটলা করার অভিযোগে লাঠিপেটা করল বীজপুর ও নৈহাটি থানার পুলিস। বারাকপুর মহকুমা এলাকার সর্বত্র পুলিসের সক্রিয়তা দেখা গিয়েছে। তবে আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কোথাও কোথাও মূলত যুবকদের রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে আড্ডা মারতে দেখা গিয়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি, কেউ জটলা করলেই পুলিস সক্রিয় হোক। পুলিস তাদের লাঠিপেটা করে থানায় নিয়ে যাক। নইলে করোনার সংক্রমণ ঠেকানো যাবে না।
মঙ্গলবার সকাল থেকে নৈহাটির গোরুর ফাঁড়ি, মালঞ্চ রোড এলাকায় ভিড় দেখা যায়। কোনও কাজ ছাড়াই হুজুগে কিছু মানুষ বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন সকালে। খবর দেওয়া হয় পুলিসে। পুলিস এসে তাদের উপর লাঠিচার্জ করে বাড়িতে ঢুকিয়ে দেয়। একই চিত্র দেখা যায় কাঁচরাপাড়ার থানা মোড়, গান্ধী মোড়, বাগ মোড়ে। সেখানেও বীজপুর থানার পুলিস এসে লাঠিচার্জ করেছে। কাঁকিনাড়ার পানপুর মোড়ের সব্জি বাজারে ক্রেতাদের প্রচুর ভিড় ছিল। কোনও ক্রেতাই এক ফুট দূরত্ব রেখে বাজার করছিলেন না। যা নিয়ে একাংশ ক্রেতাদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়।