বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
এদিন তিনি বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ নবান্ন থেকে বেরিয়ে প্রথমে তিনি যান আর জি কর হাসপাতালে। সেখানে আইসিসিইউ’র সামনে দাঁড়িয়ে জানতে চান, আপনাদের মাস্ক আছে? পিপিই কিটস আছে তো? হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ শুদ্ধধন বটব্যাল জানান, যা আছে, তাই দিয়ে চালাচ্ছি। তবে অভাব আছে। মুখ্যমন্ত্রী তখন বড় দুই বাক্স মাস্ক তাঁর হাতে তুলে দেন। এই হাসপাতালেই ৫০টি বেডের আইসোলেশন সেন্টার তৈরি করা হয়েছে। সেখান থেকে তিনি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। সেখানে অধ্যক্ষ ডাঃ মঞ্জুশ্রী রায়ের কাছে সমস্যার কথা জানাতে চান। এই হাসপাতালকেই করোনা হাসপাতাল হিসেবে চিহ্নিত করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর। সেখানেও মাস্ক তুলে দিয়ে যান নীলরতন সরকার হাসপাতালে। সেখানে অধ্যক্ষ ডাঃ শৈবাল মুখোপাধ্যায় কিছু সমস্যার কথা বলেন, তা শুনে সঙ্গে সঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের কর্তাদের জানিয়ে দেন তিনি। শৈবালবাবু বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রী আসাতে মনোবল বাড়ল স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের।
সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতাল হয়ে তাঁর গাড়ি যখন এজেসি বসু ফ্লাইওভারে উঠল, তখন সকলেই হতবাক মুখ্যমন্ত্রী কোথায় যাচ্ছেন। তাঁর গাড়ি সোজা গিয়ে দাঁড়ায় নিউটাউনে চিত্তরঞ্জন ক্যান্সার হাসপাতালের সামনে, যেখানে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার করা হয়েছে। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের সাবধানে কাজকর্ম করতে বললেন। সেখানেও তাঁদের হাতে মাস্কের কার্টন তুলে দেন।
সেখান থেকে গাড়ি ঘুড়িয়ে চিংড়িঘাটা মোড় হয়ে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালের সামনে গিয়ে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে এগিয়ে এলেন আইডি হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ অনিমা হালদার সহ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা। তাঁদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আপনারা খুব ভালো কাজ করছেন। আপনাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। প্রকৃত অর্থে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল রেফারেল হাসপাতাল হিসেবে কাজ করছে। কারও শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই সেখানে চেক করতে চলে যাচ্ছেন। অধ্যক্ষ সেই সমস্যার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই অনেকে ভয়ে পরীক্ষা করতে চলে আসছেন। তাতে সমস্যা হচ্ছে। বর্তমানে আটজন ভর্তি রয়েছেন। তাঁরা স্থিতিশীল আছেন। ৯৩ জনের পরীক্ষা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী শুনে পুলিস কমিশনারকে বলেন, এখানে সবসময় যেন পুলিস থাকে। করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসার একেবার গ্রাউন্ড জিরোতে দাঁড়িয়ে মনোবল বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখান থেকে চলে যান এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে। যেখানে ১৫০টি বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর আসার ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এম আর বাঙ্গুর হাসাপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ শিশির নস্কর বলেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল বৃদ্ধি হল।