রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
গত বছরের ৩১ আগস্ট সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ আচমকাই স্যাকরাপাড়া লেন-এর কাছে মাটির নীচে প্রথম টানেলটিতে জল ঢুকতে শুরু করে। সেই ঘটনার জেরে একাধিক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভেঙে পড়ে কয়েকটি বাড়ি। এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময়েই প্রথম টানেলটি কাটার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। টানেল কাটায় স্থগিতাদেশ দেয় আদালতও। তখন প্রথম টানেলটি ধর্মতলা থেকে ১.৬৫ কিলোমিটার এগিয়ে ছিল। দ্বিতীয় টানেলটির মুখ ধর্মতলা থেকে ১.৩৭ কিলোমিটার এগিয়ে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছে ছিল। সম্প্রতি আদালত থেকে টানেল কাটার অনুমতি পায় কর্তৃপক্ষ। তারপরই শুরু হয় দ্বিতীয় টানেলটি কাটার কাজ। ইতিমধ্যেই এই টানেলটিতে বোরিং মেশিন চৈতন্য সেন লেন, হিদা রাম ব্যানার্জি লেন পার করে স্যাকরাপাড়া লেনে পৌঁছেছে বলে খবর। এই জায়গা থেকে বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দূরত্ব এখনও ১৫০ মিটার। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, দ্বিতীয় টানেল শিয়ালদহ পৌঁছনোর পর এই টানেল বোরিং মেশিনটি প্রথম টানেলটির বাকি অংশ কাটার কাজে ব্যবহার করা হবে। বলা হয়েছিল, গোটা কাজটি শেষ হতে পারে আগামী বছরের মার্চ বা এপ্রিল মাস নাগাদ। সংস্থার এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, যেহেতু আপাতত কাজ বন্ধ, তাই সময়সীমা কিছুটা হলেও পিছবে। দ্বিতীয় টানেলটি কাটার কাজ শিয়ালদহ থেকে শুরু করতে আরো তিন মাস সময় লাগবে। পরবর্তী প্রতিটি পর্বে কাজ বন্ধের জের পড়বে। লকডাউন অবস্থায় আমাদের প্রতিটি কর্মী অফিসার ঘরেই রয়েছেন। এই পর্ব মিটলে প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়ে টানেলের কাজ শুরু করা হবে। একইসঙ্গে ফের শুরু হবে মাটির নীচে বিভিন্ন স্টেশন তৈরির কাজও।