পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
মঙ্গলবার এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার বিজয় উপাধ্যায় বলেন, ঝামেলার পর রাতেই পুলিস-প্রশাসন গোটা এলাকার দখল নিয়ে নেয়। নিরাপত্তার মধ্যে দাহকার্য সম্পন্ন করায়। ডেপুটি মেয়র তথা স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ বলেন, কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে অনেক রাতে। তবে যে ঝামেলা হয়েছে, তা অনুচিত। অবশ্য, ওই প্রৌঢ়ের দেহ দাহের পর গোটা শ্মশানে পর্যাপ্ত পরিমাণে রাসায়নিক স্প্রে করে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁর বিভাগের কর্মী-আধিকারিকরা। এঁদের একাংশের কথায়, এভাবে জীবাণু ছড়ায় না। আতঙ্ক নিয়ে কারও কারও উস্কানিতে মানুষ আরও বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছেন। তা থেকেই সোমবারের মতো ঘটনা ঘটিয়েছেন শ্মশান সংলগ্ন বাসিন্দারা।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, নিমতলা মহাশ্মশানে দাহ করার চুল্লিতে সম্পূর্ণ আলাদা করে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল। আশপাশে কাউকে আসতে দেওয়া হয়নি। অতীনবাবুর কথায়, সবকিছুই আমরা আলাদাভাবে ব্যবস্থা করে দিয়েছিলাম। সোমবার রাতের পর অবশ্য মঙ্গলবার নিমতলা শ্মশান এলাকা সম্পূর্ণ ফাঁকা এবং নিস্তব্ধ। লকডাউনের জন্য দোকানপাট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় চলছে পুলিসের টহলদারি। কাউকে দেখলেই, প্রিজন ভ্যানে বা জিপে তুলে নেওয়ার কথা এলাকায় জানিয়েছে পুলিস। তবে রাস্তায় না হলেও শ্মশান লাগোয়া ঝুপড়ি অধ্যুষিত এলাকার ভিতর থেকেই বাসিন্দারা বললেন, সোমবার তাঁরা যা করেছেন, তা একদমই ঠিক। কারণ, এভাবে করোনা সংক্রমণে মৃত প্রৌঢ়ের দেহ দাহ করা হলে গোটা এলাকায় ভাইরাস ছড়াবে। তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ, এবারে হয়তো আশপাশের মানুষজন আক্রান্ত হবেন। তখন কি প্রশাসন এসে আমাদের উদ্ধার করবে? যদিও মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের কথায়, চুল্লিতে দাহকার্যে ওই রোগীর দেহ থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর কোনও আশঙ্কাই নেই। এটা মানুষের একরকম অন্ধবিশ্বাস কাজ করেছে। যার জেরে ওই প্রৌঢ়ের দেহ সেখানে পড়ে থাকায় ঝুঁকি আরও বেড়েছে।