বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ধৃত আব্দুল খুনের কথা স্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার ঘটনার পুনর্গঠনের সময়ে সে কোন পথে গৃহবধূকে ওই জায়গায় নিয়ে গিয়েছিল, কীভাবে খুন করেছে, খুনের পর কোথায় মৃতদেহ ও কাটা মাথা ফেলেছে সবকিছু জানায়। তার দেওয়া তথ্য থেকেই ঘটনাস্থল থেকে এক কিলোমিটার দূরের ভেড়ি থেকে মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১ ফেব্রুয়ারি সকালে শাসনের মাগরি এলাকার ৬ নম্বর ভেড়ির জল থেকে অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার অর্ধনগ্ন মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। পুলিস তদন্তে নেমে জানতে পারে, অজ্ঞাতপরিচয় মহিলার নাম ফরিদা খাতুন (২৩)। তাঁর বাড়ি হাড়োয়া থানা এলাকায়। ফরিদার দাম্পত্য সম্পর্ক ভালো ছিল না। তিনি চার বছরের ছেলেকে নিয়ে হাড়োয়ার বাপের বাড়িতে থাকতেন। পুলিস খুনের ঘটনার সঙ্গে আব্দুল নইম মোল্লার যোগসূত্র খুঁজে পায়। তার বাড়ি হাড়োয়া থানার ঝিনকিয়া এলাকায়। বুধবার নইমকে শাসন থানার পুলিস ডোমজুড় থেকে গ্রেপ্তার করে ১০ দিনের হেফাজতে নেয়। পুলিস তাকে জেরা করে জানতে পারে, নইমের সঙ্গে ওই গৃহবধূর সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। গৃহবধূকে সে বহুদিন ধরেই বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু দিনমজুর নইমকে তিনি বিয়ে করতে রাজি ছিলেন না।
গত ৩১ জানুয়ারি সে ফরিদাকে ফোন করে ডেকে পাঠায়। এরপর নইমের কথা মতো শাসন এলাকায় পৌঁছয়। এরপর তাঁরা বিভিন্ন এলাকায় ঘোরার পর সন্ধ্যায় শাসনের ৬নম্বর ভেড়ি এলাকার ফাঁকা জায়গায় যায়। এরপর সেখানে গৃহবধূকে চপার দিয়ে খুন করে। মৃতদেহ লোপাটের উদ্দেশ্যে মৃতদেহ থেকে মাথা কেটে নেয়। এরপর মাগরি ৬ নম্বর ভেড়ির জলে মুণ্ডহীন দেহ ফেলে মাথা নিয়ে পালায়। এরপর প্লাসটিকের মধ্যে ভরে এক কিলোমিটার দূরের সিঙ্গারাখোলের ভেড়ির মাটির নীচে পুঁতে দেয়। বৃহস্পতিবার কাটা মুণ্ড উদ্ধারের পাশাপাশি ঘটনার পুনর্নির্মাণ করে পুলিস। খুনের আগে ধর্ষণের সম্ভাবনাও পুলিস একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছে না। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আরও বেশ কয়েক জনের জড়িত থাকার সম্ভাবনা পুলিস খতিয়ে দেখছে।