কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঠাকুরপুকুর ও তারতলা রুটের স্ট্যান্ড থেকে অটোটি চারজন যাত্রী নিয়ে ছাড়ে। কিছুটা আসার পর একজন যাত্রী নেমে যান। অটোর সামনে বসে ছিলেন নিত্যবাবু। অটোয় থাকা আহত যাত্রীদের কথায়, অটোটি প্রথম থেকেই বেশ জোরে চলছিল। যাত্রী তোলার জন্য অটোচালক ঠাকুরপুকুরের কাছে একটি সিগন্যাল দ্রুত পার করার চেষ্টা করে। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে না পেরে সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িকে ধাক্কা মারে। অটোটি উল্টে যায়। চিৎকার শুরু করেন অটোর যাত্রীরা। দুর্ঘটনা দেখে স্থানীয়রা সঙ্গে সঙ্গেই এগিয়ে আসেন। তাঁরা তিনজনকে উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে আসে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিস। এলাকায় ভিড় জমে যায়। তিনজনকেই উদ্ধার করে বিদ্যাসাগর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিত্য মজুমদারকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, তাঁর বুকে মারাত্বকভাবে আঘাত লাগে। তাঁর শরীরের ভিতরে ব্যাপক রক্তক্ষরণ হয়। সেই কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়। বাকি দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আহত যাত্রীদের চোখেমুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট।
এদিকে ঘটনার পরই অটোর বেলাগাম গতি নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের বক্তব্য, ব্যস্ততম ডায়মন্ডহারবার রোডে সবসময়ই বেপরোয়া গতিতে যাতায়াত করে অটোগুলি। যাত্রী তোলার জন্য নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলে। যে কারণে মাঝমধ্যেই ছোটখাট দুর্ঘটনা লেগেই থাকে। তবে বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনার পরই টনক নড়েছে পুলিসের। বেপরোয়া অটোর দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে সক্রিয় হয়েছে তারা।
অন্যদিকে বন্দর এলাকার হাইড রোডে দুপুরে পণ্যবাহী লরির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক স্কুটার আরোহীর। মৃতের নাম রাজীব আলম (২৫)। তাঁর বাড়ি রাজাবাগানে। তিনি বাড়িতে ফিরছিলেন। আচমকাই তাঁকে পিছন থেকে একটি লরি ধাক্কা মেরে পালিয়ে যায়। গাড়ি থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। মাথায় গুরুতর আঘাত পান। হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। তাঁর পাশ থেকে একটি হেলমেট মিলেছে। তিনি সেটি পরেছিলেন কিনা, তা স্পষ্ট নয়। পলাতক লরির খোঁজ চলছে।
এদিনই বাস থেকে নামার সময় পড়ে গিয়ে আহত হয় জিৎ জানা (১৪) নামে হিন্দু হাইস্কুলের এক ছাত্র। স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল সে। বিধান সরণীতে বাস থেকে নামার সময় আচমকাই পা পিছলে নীচে পড়ে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পায় সে। তবে তার মুখে মারাত্মক আঘাত লেগেছে। আর জি কর হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে।