কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এদিকে, ঘটনার খবর পেয়ে ওই দম্পতির বিবাহিতা মেয়ে হাসপাতালে এলেও তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। চন্দননগর থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে প্রাথমিকভাবে ওই দম্পতি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলেই তথ্যপ্রমাণ মিলছে।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত একবছরের বেশি সময় ধরে ওই দম্পতির জীবনযাত্রা বার্ধক্যভাতার সামান্য টাকাতেই চলছিল। মানসবাবু অসুস্থ থাকায় তাঁর চিকিৎসা খরচে অনেকটা টাকা চলে যেত। ফলে বেসরকারি সংস্থার প্রাক্তন কর্মী মানসবাবুর সঞ্চয় প্রায় সবই শেষ হয়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতে যে তাঁদের জীবনে এমন সঙ্কট আসতে পারে তা আগেই আন্দাজ করেছিলেন সন্ধ্যাদেবী।
তিনি তাঁর এই আশঙ্কার কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছতে চেয়ে ২০১৯ সালে একটি সংবাদপত্রের পাঠকের কলমে চিঠিও লিখেছিলেন। যোগাযোগ করেছিলেন ‘দিদিকে বলো’র বিশেষ ফোন নম্বরেও। বেঁচে থাকার আকুল আর্তি নিয়েই শেষপর্যন্ত অনটনে ওই অসহায় দম্পতি আত্মহত্যার পথ বেছেছেন বলেই প্রতিবেশীরা মনে করছে। প্রতিবেশীদের সূত্রেই জানা গিয়েছে, এদিন এক ব্যক্তি মানসবাবুকে ডাকতে আসেন। তিনি দরজা কিছুটা ফাঁকা দেখে ঘরে উঁকি দেন। তখনই ওই দম্পতিকে গামছা দিয়ে ঝুলতে দেখেন। প্রতিবেশীরা এসে দু’জনকে উদ্ধার করে চন্দননগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সন্ধ্যাদেবীকে মৃত ঘোষণা করে। মানসবাবু এখনও চিকিৎসাধীন। মৃতের ভাইঝি শুক্লা কর্মকার বলেন, আর্থিক অনটন ছিলই। তবে এমনটা হতে পারে তা ভাবিনি। তাঁরা সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছেন। পুলিস তা নিয়েও গিয়েছে।