পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
সূত্রের খবর, পিজি হাসপাতাল থেকে বাঙ্গুরে যাওয়ার রাস্তার উপর, ডানহাতে বাঙ্গুরের আউটডোর বাড়িকে অনুষ্ঠানের মণ্ডপের সঙ্গে জুড়ে নিয়ে এই আয়োজন হয়। যা দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত চিকিৎসকমহলের একাংশ। তাঁরা জানিয়েছেন, সারা দিনে যে আউটডোর চত্বরে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, রোগী ও বাড়ির লোকজনের তিল ধারণের জায়গা থাকে না, মুমূর্ষু রোগীরা দূর-দূরান্ত থেকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আসেন, তাও অনেকময় বেড পান না, সেটাই রাতে কীভাবে বিয়েবাড়িতে পরিবর্তিত হয়ে যায়? কারা এই অনুষ্ঠানের অনুমতি দিল? হাসপাতাল কর্তারা কি কিছুই জানেন না?
প্রসঙ্গত, পিজি হাসপাতাল চত্বরের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মী আবাসনের গায়ে নানা সময়ে এই জাতীয় অনুষ্ঠান হয়ে এসেছে। তা নিয়ে বিতর্ক কম হয়নি। কালীপুজো, দীপাবলিতে প্রায় প্রতি বছর পিজিতে ভর্তি কয়েক হাজার রোগীদের দুর্ভোগের কথা না ভেবে শব্দবাজি ফাটানো হয়। রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আধিকারিকরাও এই অভিযোগ বহুবার পেয়েছেন। গিয়ে হাতেনাতে ধরেওছেন। কিন্তু, এইবার একেবারে হাসপাতালের আউটডোর চত্বরের মধ্যেই এই ধরনের অনুষ্ঠান দেখে, উদ্যোক্তাদের সাহসে হতবাক হয়ে গিয়েছেন অনেকে। বুধবার রাতে পিজি’র সুপার ডাঃ রঘুনাথ মিশ্র বলেন, এমন হওয়ার কথা নয়। খোঁজ নিচ্ছি। ওঁরা অনুষ্ঠান করলেও নিজেদের আবাসনের বাইরে তা করা উচিত নয়। আমাদের কোনও অনুমতিও কেউ নেয়নি। হাসপাতাল পুলিস প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলছি। এসব বরদাস্ত করা হবে না।