পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
জিএসটি প্রতারণার অভিযোগে ধৃত দু’জনকে জেরা করে ডিজিজিএসটিআইয়ের অফিসাররা জানতে পারছেন, তারা ৫০টির বেশি ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিল। বিভিন্ন জায়গায় তার অফিস দেখানো হয়েছিল। কোম্পানিগুলির ট্রেড লাইসেন্সও নেওয়া হয়েছিল। এই ব্যবসা তারা অনেকদিন ধরেই চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা ১০টি জায়গার খোঁজ পেয়েছেন। যেখানে তল্লাশিও চালানো হয়েছে। ভুয়ো কোম্পানিগুলি এখানকার ঠিকানায় খোলা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। প্রতি বছরই কোম্পানিগুলির লেনদেনের অঙ্ক লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে থাকে। তদন্তে জানা গিয়েছে, কাগজপত্রে বলা হয়েছে, তারা বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী প্রস্তুত করে বিভিন্ন রাজ্যে পাঠিয়ে থাকে। এমনকী বিদেশেও মাল রপ্তানি হয়। বাস্তবে যার কোনওটাই হতো না। এখনও পর্যন্ত ৫০০ কোটি টাকার লেনদেনের হিসেব পাওয়া গিয়েছে। যার পুরোটাই ভুয়ো। এই অঙ্ক আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। এই সমস্ত কাগজপত্র তৈরি করতে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট (সিএ)-দের সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে ধৃতরা জেরায় জানিয়েছে। এই সিএ কারা কারা, এ সম্পর্কে তথ্য হাতে এসেছে কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের। তাঁদের সম্পর্কে খোঁজখবর চলছে। অফিসারদের বক্তব্য, লেনদেন বেশি দেখিয়ে ভুয়ো ইনভয়েস জমা দিয়ে সরকারের কাছ থেকে বেশি পরিমাণ টাকা ফেরত নেওয়া ছিল উদ্দেশ্য। অভিযুক্তরা ভুয়ো কোম্পানি খোলার জন্য যে বিভিন্নজনের কাছ থেকে নথি নিয়েছিল, তা জেরায় স্বীকারও করে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকী পরিচয়পত্রের জাল নথি পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে।
তদন্তে জানা যাচ্ছে, ভুয়ো কোম্পানিগুলির একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ছিল। এগুলি বিভিন্ন সময়ে ভাড়াও দেওয়া হয়। একাধিক কোম্পানি বা ব্যক্তি তা ভাড়াও নিয়েছে বিভিন্ন সময়ে। অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা নিত দুই অভিযুক্ত। আসলে এর মাধ্যমে কালো টাকাকে সাদা করে নেওয়া হতো বলে অভিযোগ। তা থেকেই অফিসাররা মনে করছেন, জিএসটি প্রতারণার পাশাপাশি কালো টাকা সাদা করার জন্যও এতগুলি কোম্পানি খোলা হয়েছিল। এর সঙ্গে আরও অনেকেই জড়িত রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই নিয়েই আলাদা করে তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। এখান থেকে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।