বিদ্যার্থীদের ক্ষেত্রে আজকের দিনটা শুভ। কর্মক্ষেত্রে আজ শুভ। শরীর-স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। লটারি, শেয়ার ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর আটেক আগে রাজেশবাবুর সঙ্গে পম্পাদেবীর বিয়ে হয়। রাজেশবাবু তেমন কিছু না করলেও পম্পাদেবী পেশায় যাত্রা শিল্পী। সাংসারিক অশান্তির জেরে তিন বছর ধরে পম্পাদেবী বারাকপুরের একটি ভাড়াবাড়িতে আলাদা থাকেন। শিশুকন্যাকে নিয়ে রাজেশবাবুও বারাকপুরের সুকান্তপল্লির ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। তবে মেয়েকে দেখতে প্রতি সপ্তাহে সুকান্তবাবুর বাড়িতে যেতেন পম্পাদেবী। বুধবার দুপুরে তিনি মেয়েকে দেখতে ওই বাড়িতে যান। মেয়ে দুপুরে ভাত, আলু সেদ্ধ খাওয়ার বায়না ধরে। এরপর তিনি রান্না চাপানোর জন্য রান্নাঘরে গিয়ে বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়।
ঝামেলা চলার সময় আচমকাই রাজেশবাবু দড়ি দিয়ে স্ত্রীর গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনের চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। যখন তিনি গলা ছাড়ানোর চেষ্টা করেন, তখন রান্নাঘরে পড়ে থাকা বঁটি ও কাটারি হাতে তুলে নেন রাজেশবাবু। এরপর স্ত্রীর মাথায় ও ঘাড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করেন। পম্পাদেবী মাটিতে পড়ে যান। স্ত্রী মারা গিয়েছেন ভেবে তিনি ঘরের ভিতরে ঢুকে যান। এরপর বিষের শিশি বের করে মেয়েকে জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়ার পর নিজেও বিষ খান।
তীব্র ঝগড়া ও চিৎকারের পর আচমকাই চুপচাপ হয়ে যাওয়ায় প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। স্থানীয়রা এসে দেখেন এই দম্পতি ও শিশুকন্যা যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। এরপর দ্রুত তাঁদের বারাকপুর বি এন বসু হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক পরীক্ষার পর রাজেশবাবুকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
পম্পাদেবী বলেন, স্বামীর সঙ্গে কোনওদিন বনাবনি হত না। আমাকে খুব মারধর করত। টিটাগড় থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেছি। অত্যাচারের কারণে আমি আলাদা থাকি। মেয়েকে ও জোর করে নিজের কাছে রেখেছিল। আমি প্রত্যেক সপ্তাহে মেয়েকে দেখার জন্য ওর বাড়িতে যেতাম। আজকে দুপুরে আমি মেয়েকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমি যখন রান্নাঘরে সেই সময় পিছন থেকে এসে আমার গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করার চেষ্টা করে আমার স্বামী। আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করায় বঁটি দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা করে। আমি অচেতন হয়ে যাওয়ার পর ও মেয়েকে বিষ খাইয়ে নিজে বিষ খায়।