কর্মলাভের যোগ আছে। ব্যবসায় যুক্ত হওয়া যেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে সাফল্য আসবে। বুদ্ধিমত্তার জন্য প্রশংসা জুটবে। ... বিশদ
কৌশিকবাবু ফোনে বললেন, আমি সঙ্গে সঙ্গে ওর দাদা অমিতকে ফোন করে জিজ্ঞাসা করি, সে কোথায় রয়েছে। সুমিতের দাদা আমায় জানায়, রানিকুঠিতে সে যাচ্ছে। আমি তখনই তাঁর ভাইয়ের বিষয়টি জানাই এবং বলি, দ্রুত বাড়ি গিয়ে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে আসতে। সুমিতের দাদা সেইমতো রওনা দেয়। আমিও ওর বাড়ির দিকে এগতে থাকি। কিছুদূর গিয়ে ফোন করে বুঝতে পারি, অমিত চলে এসেছে। ওর হাত থেকে অ্যাডমিট কার্ড নিয়ে সোজা পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে দিয়ে আসি। উল্টোডাঙা ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট চৈতন্য মল্লিকের ভূমিকার পর গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট কৌশিক মজুমদারের এই তৎপরতা নিয়ে খুশি কলকাতা পুলিসের ট্রাফিক গার্ডের কর্তারাও। তাঁদের একাংশের কথায়, পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অন্তত মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় আর কোনও প্রশ্ন তোলা উচিত নয়। কৌশিকবাবু অবশ্য এই কাজটিকে নিজের দায়িত্ব বলেই দাবি করেছেন। আর ওই ছাত্র সুমিত বলল, ওই সার্জেন্ট কাকুর ভূমিকা কোনওদিন ভুলব না।
অন্যদিকে, পরীক্ষাকেন্দ্রে অসুস্থ হয়ে পড়ল এক ছাত্রী। শেষ পর্যন্ত তাকে পরীক্ষা দিতে হল হাসপাতালের বেডে বসেই। মঙ্গলবার দুপুর একটা নাগাদ সারদা বিদ্যামন্দির স্কুলে পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে সনৎ রায় চৌধুরী স্কুলের ছাত্রী দীপা দোলুই। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি এন্টালি থানায় জানানো হয়। সেখান থেকে দ্রুত গাড়িতে পুলিসের সাহায্য নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ছাত্রীটিকে। সেখানে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা মেনে দুপুর ২টো ১০ মিনিট থেকে পরীক্ষা দেয় ছাত্রীটি। ৪টে ১০ মিনিট নাগাদ তার পরীক্ষা শেষ হয়।