বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
অন্যদিকে, তিন দশক আগে বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন বিহারের সারেঙ্গি বাদক জয়গোবিন্দ বিন্দ। মৃত ভেবে কয়েক বছর আগে গয়ায় শ্রাদ্ধ করে পিণ্ড দিয়েছিল পরিবারের লোকেরা। কিন্তু, সেই হ্যাম রেডিওর সহায়তায় নিখোঁজ ভাইকে খুঁজে পেয়ে মঙ্গলবার অশোকনগর হাসপাতালে চোখের জলে ভাসলেন পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যদের হাতে মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে তুলে দিতে পেরে অনেকটাই নিশ্চিন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও।
হারিয়ে যাওয়া লোকজন খুঁজে দেওয়ার জন্য বিশেষ রেডিও যোগাযোগ পদ্ধতিতে সারা বিশ্বজুড়ে কাজ করে হ্যাম রেডিও। বিভিন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের উদ্ধারকাজে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সেই হ্যাম রেডিওর কর্মীরা চন্দননগরে এক বিখ্যাত মিষ্টি দোকানের পাশে রাস্তার ফুটপাতে সোমবার এক মহিলাকে বস্তা চাপা দিয়ে শুয়ে থাকতে দেখেন। হ্যাম রেডিওর কর্মী সৌরভ গোস্বামী সেখানে যান। তাঁর নাম জিজ্ঞাসা করে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। তাঁকে স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে দেন সৌরভবাবু। এই অবস্থায় হ্যাম রেডিও তাদের সব যোগাযোগ মাধ্যমে খবর দেয়। অবশেষে জানা যায় গুজরাতের রাজকোটে বাড়ি ওই মহিলার। তাঁকে নিতে মঙ্গলবারই চন্দননগর চলে আসেন মেয়ে-জামাই। তাঁরা জানান, মাস চারেক আগে বাজার করতে বেরনোর পর আর আমরা খুঁজে পাইনি তাঁকে।
এদিকে, মাস দেড়েক আগে অশোকনগর স্টেশনে এক মানসিক ভারসাম্যহীন বৃদ্ধকে ঘুরে বেড়াতে দেখে রেল পুলিস। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের সহযোগিতায় ওই বৃদ্ধকে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের সুপার গত শনিবার হ্যাম রেডিওর ওয়েস্টবেঙ্গল রেডিও ক্লাবের সেক্রেটারি অম্বরীশ নাগবিশ্বাসকে বিষয়টি জানান। এরপর তাঁরাই পরিচয় উদ্ধারের লড়াই শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত জানা যায়, ওই বৃদ্ধের নাম জয়গোবিন্দ বিন্দ। তাঁর বাড়ি বিহারে। মঙ্গলবার অশোকনগর হাসপাতালে জয়গোবিন্দবাবুকে পায়ে পোলিও রোগের চিহ্ন দেখে কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। হাসপাতালে দাঁড়িয়ে মুখরাম বিন্দ বলেন, ভাই প্রায় ৩০ বছর আগে অনুষ্ঠান করতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। ও ভালো সারেঙ্গি বাজাত। তারপর আর বাড়ি ফিরে আসেনি। শেষমেশ ওর শ্রাদ্ধ করে গয়ায় পিণ্ড দিয়েছি।