বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পক্ষী বিশারদদের কথায়, চার দশক আগে যেভাবে শহরের বিভিন্ন জায়গায় পাখিদের আানগোনা দেখা যেত, বর্তমানে তেমন আর দেখা যায় না। এর কারণ, দিনের পর দিন আধুনিক যান্ত্রিক সভ্যতার প্রবল বিস্তার ঘটেছে শহরজুড়ে। একদিকে বহুতলের দাপট, অন্যদিকে উন্নয়নের নামে বৃক্ষনিধন। আর তার সঙ্গে গত দু’দশক ধরে মোবাইল ফোনের বিস্তারের জন্যে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার তৈরি করা। মোবাইল টাওয়ারের তীব্র চৌম্বক বিকিরণ বিভিন্ন পাখির জীবনযাত্রাকে বিপন্ন করে তুলেছে। একইসঙ্গে যা আশঙ্কাজনকভাবে শহরের প্রাকৃতিক ভারসাম্যকেও নষ্ট করছে।
এলাকার কাউন্সিলার তথা ১০ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, আগে অরবিন্দ নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডে এবং বিজয়গড়ের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোট ১১টি গাছে এই বাসা তৈরি করা হয়। এবার সমাজগড় এবং পল্লিশ্রী মিলিয়ে আরও আরও ১০-১২টি গাছে এই বাসা তৈরি করা হল। তপনবাবু দাবি করলেন, এই বাসা তৈরির পর কয়েকদিন পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হয়েছিল। দেখা গেল, পাখিদের আনাগোনা বেড়েছে। নাগরিকরা বললেন, যে গাছগুলির উচ্চতা কিছুটা বেশি, সেখানেই এই বাসা তৈরি করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের এমন উদ্যোগকে নজিরবিহীন বলেই দাবি করেছেন পক্ষী বিশারদরা। তাঁদের মতে, শহরের সব জায়গায় না হলেও, যে এলাকাগুলিতে গাছগাছালির প্রাধান্য রয়েছে, সেখানে যদি এরকম উদ্যোগ নেওয়া যায়, তাহলে শহরে পাখিদের সংখ্যা বাড়বে। গল্ফগ্রিন এলাকায় বড় গল্ফ খেলার মাঠ থাকায় সেখানে জলাশয় রয়েছে বেশ কয়েকটি। ফলে শীতে পরিযায়ী পাখিও দেখা যায়। কিন্তু তা শুধু মাঠের ভিতরেই। এলাকার মানুষের মতে, পাখির সংখ্যা না বাড়লে ভারসাম্য বজায় থাকবে না। তাই এলাকাতে পাখির আনাগোনা বৃদ্ধি করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এলাকায় গিয়ে দেখা গেল, গাছগুলির ডালপালার এমন একটি জায়গায় বাসাগুলি তৈরি করা হয়েছে, যাতে বৃষ্টি বা ঝড় হলেও ভেঙে না পড়তে পারে। দড়ি দিয়ে মজবুত করে বাঁধা হয়েছে। এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের কথায়, অনেকে এই ধরনের বাসা থেকে পাখির ডিম চুরির চেষ্টা করে। রয়েছে ভাম বিড়ালও। তাই তারা যাতে বাসাগুলির ক্ষতি না করতে পারে, সেজন্য নজরদারি রাখা হচ্ছে।