গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
পুলিস ও আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর ২৯ জুন সকালে কলকাতা পুলিসের দক্ষিণ বন্দর থানা এলাকায় ওই ঘটনা ঘটে। স্কুটারে চেপে অফিস যাচ্ছিলেন ওই মহিলা বক্সার। তখন বাস ধরতে যাওয়া ওই তিন যুবক তাঁর উদ্দেশে নানা কটু মন্তব্য করে বাসে উঠে যায়। তিনি প্রতিবাদ জানাতে বাসের পিছনে ধাওয়া করেন। এরপর বাসটি একটি স্টপেজে দাঁড়ানো মাত্রই ওই তিন যুবক বাস থেকে নেমে মহিলা বক্সারের গলা টিপে ধরে। তারা তাঁকে এলোপাথারি থাপ্পড়ও মারে। স্থানীয় মানুষের চেষ্টায় উদ্ধার হন ওই মহিলা বক্সার। তিনি পুরো বিষয়টি ফেসবুকে পোস্ট করেন। পোস্টটি পুলিসের নজরে আসা মাত্রই ওই মহিলা বক্সারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ওইদিনই তল্লাশি চালিয়ে পুলিস গ্রেপ্তার করে তিন অভিযুক্তকে। ধৃতদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ বন্দর থানায় শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। ওই মহিলা আলিপুরের এক বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের (জেএম) কাছে গোপন জবানবন্দি পেশ করেন।
সরকারি আইনজীবী জানান, পুলিস অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তদন্ত শেষ করে ১১ দিনের মাথায় আলিপুর কোর্টে চার্জশিট পেশ করে। চার্জ গঠনের পর শুরু হয় মূল মামলার বিচার। কোর্টে সাক্ষ্য দেন ওই মহিলা বক্সার সহ মোট আটজন। শুনানি শেষে এদিন আদালত ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে। মুখ্য সরকারি আইনজীবী জানান, এই তিন যুবক একাধিকবার বিভিন্ন আদালতে জামিনের আবেদন জানিয়েছিল, কিন্তু ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে তা খারিজ করে দেওয়া হয়। আইনজীবীদের একাংশের বক্তব্য, এই ধরনের মামলা যেখানে নিষ্পত্তি হতে বহু বছর সময় লাগে, সেখানে এই মামলা দ্রুত শেষ হল। আদালত সূত্রে খবর, কড়া পুলিসি প্রহরায় ওই তিন আসামিকে এদিন সন্ধ্যায় প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।