বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
পাশাপাশি, চলতি মাসের ২২ ফেব্রুয়ারি কলকাতা পুলিসের ক্রাইম মিটিংয়ে ট্যাংরা একটি খুনের মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আলোচনার সময় কলকাতার পুলিস কমিশনার অনুজ শর্মা জানতে পারেন, মূল ঘটনাস্থলে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না। এরপরই সিপি শহরের সব থানার ওসিকে নির্দেশ দেন, কলকাতার প্রতিটি থানা এলাকায় সিসিটিভি নেই এমন ‘ব্ল্যাক স্পট’ বা এলাকাকে অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে।
সিসিটিভি ক্যামেরা নিয়ে যখন কলকাতা পুলিসের শীর্ষকর্তারা এতটাই সক্রিয়, ঠিক তখনই দেখা যাচ্ছে, কলকাতার পঞ্চসায়র, কেএলসি-র মতো ইস্ট ডিভিশনের দুটি থানাতে এখনও সিসিটিভি ক্যামেরার অস্তিত্ব নেই। ফলে সিঁথিকাণ্ডের পর অভিযুক্তদের লক আপে রাখা বা জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে কার্যত ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতে হচ্ছে এই দুই থানার পুলিস অফিসারদের।
সাধারণত, থানা লক-আপে থাকা বন্দিদের উপর নজরদারির জন্য একজন পুলিস কর্মী থাকেন। কিন্তু সিঁথিকাণ্ডের পর পঞ্চসায়র থানা এই নজরদারির জন্য একসঙ্গে দু’জন পুলিস কর্মীকে মোতায়েন করেছে বলে জানা গিয়েছে। কেএলসি থানার বিষয়টি একটু আলাদা। এখানে সেরেস্তার মধ্যে লক-আপ রয়েছে। ফলে এখানে সেরেস্তার কর্মরত অফিসারের পাশাপাশি লকআপের দায়িত্বে পুলিসকর্মী যৌথভাবে নজরদারি চালিয়ে থাকেন।
সাম্প্রতিককালে উত্তরের সিঁথি থেকে পূর্ব কলকাতার ট্যাংরা—বারেবারে সিসিটিভি নিয়ে ব্রিবত হতে হয়েছে কলকাতা পুলিসকে। সিঁথিতে ১০ ফেব্রুয়ারি এক নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে লক্ষাধিক টাকার স্যানিটারি সামগ্রী চুরির মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় রহস্যমৃত্যু হয় রাজকুমার সাউ নামে এক ব্যবসায়ীর। ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের অভিযোগ, জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে রাজকুমার সাউয়ের বুকে লাথি মারার পাশাপাশি ইলেকট্রিক ‘শক’ দেয় পুলিস। আবার, ট্যাংরার অ্যাম্বুলেন্স কাণ্ডে মহিলার হাত ধরে টানার অভিযোগ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রেও মূল ঘটনাস্থলে সিসিটিভি না থাকায় ৪ সেকেন্ডের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ফলে তদন্তকারী অফিসারকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ও পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের উপর নির্ভর করতে হচ্ছে।
এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে কলকাতা পুলিসের ডিসি (ইস্ট ডিভিশন) গৌরব লালকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। আমরা লালবাজারে জানিয়েছি। আশা করা যায়, দ্রুত এই থানাগুলিতে সিসিটিভি বসবে।
প্রশ্ন একটাই, ক্যামেরা বসার আগে কোনও অঘটন ঘটে গেলে তার দায় কে নেবে?