ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
সোনারপুরের নরেন্দ্রপুর থানার খেয়াদহ-১ পঞ্চায়েতের অধীন একেবারে নিরিবিলি এলাকায় ওই বাগানবাড়িটি। প্রদীপ বিশ্বাস ও তাঁর স্ত্রী আলপনা বিশ্বাস নামে এক দম্পতি সেখানে থাকতেন। তাঁদের এক আত্মীয়ের জায়গা। সেই সূত্রে দেখভালের জন্য ৯৩ সাল থেকে কেয়াটেকার হিসেবে দু’জনকে রাখা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ৩০ জুলাই তিউড়িয়ার ওই বাগানবাড়ির রান্নাঘর থেকে উদ্ধার হয়েছিল দু’টি বড় ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলে পাওয়া গিয়েছিল প্রদীপ ও আলপনার গলা কাটা দেহ। বিষয়টি প্রথম জানতে পারেন প্রদীপবাবুর ভাই জয় বিশ্বাস। ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায়। বারুইপুর পুলিস জেলার নরেন্দ্রপুর থানা তদন্তে নামে। জেলা থেকে আলাদা তদন্ত কমিটি করা হয়। নামানো হয়েছিল পুলিস কুকুর। রাজ্য পুলিসের কর্তারা বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করেন। প্রদীপবাবুর ভাই জয় বিশ্বাসকে দফায় দফায় জেরা করা হয়। একইভাবে বাগানবাড়ির মালিক প্রদীপবাবুর শালি ও তাঁর স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। টানা তিনমাস ধরে জেলা পুলিস দৌড়ঝাঁপ করেও খুনের কারণ বের করা দূর খুনির ধারেকাছে পৌঁছতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়। তাতে কার্যত হতাশ হন রাজ্য পুলিসের কর্তারা। বারুইপুর পুলিসের এই ব্যর্থতার জন্য তাদের হাত থেকে তদন্তের দায়িত্ব সরিয়ে নেওয়া হয়। দ্বিতীয় দফায় ওই তদন্তের দায়িত্ব এখন সিআইডির হাতে। তাও দু’ মাস কেটে গিয়েছে। সেই অর্থে তদন্তে বড় কোনও অগ্রগতি হয়নি বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এক অফিসার বলেন, একেবারে প্রথম পর্যায়ে তদন্তের যে যে সূত্রগুলির প্রয়োজন তার কোনওটাই পাওয়া যায়নি। ওই সব তথ্য লোপাট হয়ে গিয়েছে। সেই কারণে তদন্তে নেমে প্রতি পদে পদে হোঁচট খেতে হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে সিআইডির তদন্তকারী দল এখন আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বিশ্বাস দম্পতি খুনের রহস্য উদ্ধারে নেমেছে।
প্রদীপ বিশ্বাসের ভাই জয়বাবু রবিবার বলেন, দাদা ও বউদির খুনের পর আমাকেও সন্দেহের তালিকায় রাখা হয়েছিল। টানা কয়েকমাস ধরে থানায় হাজিরা থেকে দফায় দফায় জেরা হয়েছে। তারপর দেখলাম জেলা পুলিস হাল ছেড়ে দিল। এখন সিআইডি তদন্ত করছে। এরমধ্যে ভবানীভবন থেকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে। গত সপ্তাহে একবার ফোন করেছিল। কার্যত আমরা হতাশ। কলকাতায় অনেকগুলি খুনের কিনারা হয়ে গেল। কিন্তু দাদা-বউদির খুনের কিনারা করতে পারল না পুলিস। আমার মায়ের বয়স এখন প্রায় ৯০ হয়েছে। সাড়ে ছ’ মাস হয়ে গেল বৃদ্ধা মাকে এখনও দাদা-বউদির মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। মা প্রায়ই দাদার খোঁজ করেন। বলেন, প্রদীপের খবর কি? ফোন করেছিল? সত্যি বললে এই বয়সে আঘাত সইতে না পেরে যদি কোনও অঘটন ঘটে যায়। মিথ্যা বলি, দাদা ভাল আছে।