ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
রবিবারের সকালে শহরের জঞ্জাল সাফাই পরিস্থিতি দেখতে বেরিয়েছিলেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। নিজের ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে টালিগঞ্জ, রবীন্দ্র সরোবর, শরৎ বোস রোড হয়ে লেক গার্ডেন্স উড়ালপুলের আংশিক অংশ ঘুরে মেয়র নিজের ওয়ার্ডে পৌঁছন। মাঝ রাস্তায় একটি চায়ের দোকানে তিনি বসেন। যদিও মেয়র সেখানে আসবেন বলে আগেই স্থির করা ছিল। যেকারণে দেওয়ালে লেখা ছিল, ‘চায়ের কাপে তৃণমূল’। তবে মেয়র শুধু এদিনই নয়, আগেও প্লাস্টিক বিরোধী সচেতনতা, জঞ্জাল সাফাই অভিযানে নিজের ওয়ার্ড সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এলাকায় ঘুরেছেন। তিনি বলেন, জনসচেতনতাই মূল কথা। পুরভোট আসছে বলে জনসংযোগে নেমেছি, তা নয়। আমরা সারা বছর পড়াশোনা করি। তাই পরীক্ষার সময় ভয় পাই না। তবে এদিন কোথাও কোথাও আবর্জনা পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে, যা আমাদের পুরকর্মীদের গাফিলতির কারণে হয়েছে। নজর দিতে বলেছি।
এদিন তিনি পরিদর্শনের সময় টালিগঞ্জ স্টেশন সংলগ্ন রবীন্দ্র সরোবর লাগোয়া একটি ফাঁকা অংশে যান। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, আবর্জনা স্তূপাকারে রাখা। সেখানে থার্মোকলের গ্লাস-বাটির সঙ্গে আবার ছিল ডাবের খোলা। ছিল অন্যান্য আবর্জনা সামগ্রীও। সেখানে জল জমে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশার লার্ভা জন্মায়। মেয়র সেখানে গিয়ে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করেন। রেলের জমিতে এভাবে আবর্জনা জমে থাকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, শুধু রেল চালাব আর ফাঁকা জমি ঘিরে রাখব, তা করলে চলবে না। রেলের গাফিলতিতে আশপাশের সাধারণ মানুষ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হবে। আবর্জনা জমলে তা পরিষ্কার করতে এই কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকেই এগিয়ে আসতে হবে। তাঁর নির্দেশে এদিন ওই আবর্জনা ভর্তি জমিটি পরিষ্কার করা হয়। তিনি জঞ্জাল সাফাই বিভাগের ডিজিকে নির্দেশ দেন, রেলকে কড়া নোটিস ধরাতে। যাতে এই বিষয়গুলিতে নজর রাখে।