বিদ্যার্থীদের পঠন-পাঠনে আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের কর্মপ্রাপ্তির যোগ। বিশেষত সরকারি বা আধা সরকারি ক্ষেত্রে যোগ প্রবল। ... বিশদ
মশার উপদ্রবের কথা একেবারে অস্বীকার করছে না বিধাননগর পুরসভাও। তাদের স্বাস্থ্যবিভাগের কর্তাদের কথায়,খালে পর্যাপ্ত জল না থাকায়, জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে পরিস্থিতি সবথেকে খারাপ হয়েছিল। বারবার সেচদপ্তরকে চিঠি দেওয়ার পর অবশেষে খালে জল আসার পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ছে। তবে এখনও তা পর্যাপ্ত হয়নি। ফলে কিছুটা সমস্যা রয়েই গিয়েছে। তবে মার্চ মাসের প্রথম থেকে পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে বলে আশ্বাস তাদের। একইসঙ্গে রাজারহাট-গোপালপুরের মতো বড় এলাকায় মশা নিয়ন্ত্রণে এতদিন মাত্র একজন স্যানেটারি ইন্সপেক্টর ছিল বিধাননগর পুরসভার। সেখানে আরও একজনকে নিয়োগ করা হচ্ছে বলে পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, একজনকে এক নম্বর বরো এবং রাজারহাট-গোপালপুর সংলগ্ন দু’নম্বর বরোর কিছু এলাকার দায়িত্ব দেওয়া হবে। অন্যজনকে ভিআইপি রোড সংলগ্ন বাকি বরো এলাকার ওয়ার্ডগুলির দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও একমাস সময় লাগবে বলে পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রের দাবি।
স্বাস্থ্য বিভাগের এক কর্তা বলেন, বিধাননগরের পাশাপাশি সল্টলেকের দিকেও একজন অতিরিক্ত স্যানেটারি ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হবে। সেক্ষেত্রে তাঁরা আরও কম এলাকায় নজরদারি রাখবে। ফলে মশার উপদ্রব অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে পুরসভা আশাবাদী। সেই সঙ্গে সল্টলেক এলাকায় থাকা খালে জল আসার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে, পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিধাননগর পুরসভা এলাকারই নারায়ণপুরে মশার অস্বাভাবিক উপদ্রব বেড়েছে। শীত কমতেই মশার অত্যাচার ক্রমশ বাড়ছে। ওই এলাকায় গাছগাছালি, পুকুর, ঝোপঝাড় বেশি থাকায় মশাও বেশি। বিশেষত এয়ারপাোর্টের পাঁচিলের কাছে যে আবাসন ও বাড়িগুলি রয়েছে সেখানে মশার উৎপাত বেশি। দশদ্রোণ, আটঘড়া, সলুয়া, গোপালপুর হাউজে মশার জ্বালায় ফাঁকা জায়গায় বসে থাকা দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তবে এখানে মশার সমস্যা অনেক দিনের। ডেঙ্গু নিয়ে গত বছরের শেষের দিক পর্যন্ত হইচই হয়েছিল। সেই ঘটনা এখনও মানুষের মনে রয়েছে। এখানকার বাসিন্দারা দাবি করছেন, এলাকাগুলিতে পুরসভার পক্ষ থেকে যেন আরও বেশি করে মশার তেল ও ধোঁয়া দেওয়া হয়। এখন মশাবাহিত রোগের প্রকোপ সেভাবে দেখা দেয়নি বলে হাত গুটিয়ে বসে থাকলে চলবে না।