ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
উল্লেখ্য, শুধু ট্যাংরার খুন নয়। সাম্প্রতিককালে ট্যাংরায় অ্যাম্বুলেন্স কাণ্ডে ঘটনাস্থলে সিসিটিভি না থাকায় চার সেকেন্ডের ফুটেজ পাওয়া যায়নি। তাই মহিলার অভিযোগের নিষ্পত্তিতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট এবং পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের সাহায্য নিচ্ছে লালবাজারের গোয়েন্দারা। পুলিসের একাংশ মনে করছে, আগামীদিনে সিপি এমন অবাঞ্ছিত বিতর্ক এড়াতে শহরে সিসিটিভি নেই, এমন স্থান চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সমস্যা একটাই, পূর্ব যাদবপুর, পঞ্চসায়রের মতো কলকাতার অ্যাডেড এরিয়ার থানাগুলির অধিকাংশ রাস্তাতেই সিসিটিভি নেই।
এদিনের ক্রাইম মিটিংয়ে কলকাতা পুলিসের ডিসি (ট্রাফিক) রূপেশ কুমার অভিযোগ করেন, ‘নাকা চেকিং’-কে আর গুরুত্ব দিচ্ছে না থানাগুলি। ঢিলেঢালা মনোভাব দেখা গিয়েছে। বিষয়টি জানার পর ক্ষুব্ধ হন সিপি। এরপরই তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, শনিবার রাত থেকেই কলকাতার সব থানাকে আগের মতো গুরুত্ব দিয়ে ‘নাকা চেকিং’ করতে হবে। রাত ১০টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত এই নাকা চলবে। এর জন্য ডিসি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার, ওসি—সবাইকে রাস্তায় নামতে হবে।
তবে এই ‘নাকা চেকিং’ নিয়ে কলকাতা পুলিসের নিচুতলার অফিসাররা ক্ষুব্ধ। তাঁদের দাবি, হঠাৎ করে ‘ব্লক রেইড’ এবং ‘নাকা চেকিং’ হলে সুফল পাওয়া যায়। কিন্তু রোজ রাতে লোক দেখানো ‘নাকা চেকিং’ করলে কোনও লাভ হয় না। বিশেষ করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ‘নাকা চেকিং’-এর বিষয়টি আগাম জানা থাকায়, তাঁরা চেকিং এড়াতে অন্য রাস্তা দিয়ে চলাচল করেন।
এদিনের ক্রাইম মিটিংয়ে সিঁথিকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে সিপি সব থানার ওসিকে জাতীয় মনবাধিকার কমিশনের সুপারিশ এবং পশ্চিমবঙ্গ বনাম ডি কে বসু মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশিকা মেনে চলতে বলেছেন। উল্লেখ্য, এর ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই সিপি একটি গাইডলাইন সব থানার ওসিকে পাঠিয়েছেন।