ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
সারদা, রোজভ্যালিকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পর চিটফান্ড ব্যবসায় জড়িত ব্যক্তিরা কৌশল বদলাতে শুরু করেছে। গাছের চারা কেনা, আলুর বন্ড বিক্রি বা ডিবেনচারের লোভ দেখিয়ে ঠকানো শুরু করেছে তারা। সাধারণ মানুষকে বলা হচ্ছে, তাদের কোম্পানি প্রচুর আলুর বন্ড বাজারে ছেড়েছে। এই বন্ড কিনলে ভবিষ্যতে দ্বিগুণ টাকা মিলবে। আমানতকারীদের দেখানো হচ্ছে কোথায় কোথায় তাদের আলুর চাষ হচ্ছে। খাতায়কলমে যা দেখানো হচ্ছে, বাস্তবের সঙ্গে তার কোনও মিল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। বছর তিনেক আগে আলুর বন্ড দেবে বলে বাজার থেকে কোটি কোটি টাকা তুলেছিল একটি চিটফান্ড সংস্থা। চিটফান্ড কোম্পানিগুলি এও বলছে, তারা বিভিন্ন ফল ও সব্জির চারা বসাতে শুরু করেছে। কেউ তা কিনলে বড় হওয়ার পর তা বিক্রি করে যে লাভ হবে, তা দেওয়া হবে আমানতকারীদের। প্রতারণার ব্যবসা চালানোর জন্য গজিয়ে উঠেছে এমন সব অসংখ্য ভুয়ো কোম্পানি।
চলতি মাসের ১৫ তারিখ আলুর বন্ড নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়ে শেক্সপিয়র সরণী থানায়। পুলিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, পার্থসারথি রায় নামে এক ব্যক্তি পুলিসের কাছে অভিযোগে বলেছেন, আলুর বন্ড দেওয়া হবে বলে তাঁর কাছ থেকে এক কোটি পাঁচ লক্ষ টাকা নেয় একটি বেসরকারি কোম্পানি। তাঁকে বলা হয়, এই বন্ড কিনলে বিপুল আর্থিক লাভ হবে। টাকা নেওয়া হলেও বন্ড তাঁকে দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস প্রতারণা, বিশ্বাসভঙ্গ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে (কেস নম্বর ৩৬)। তদন্তে নেমে অফিসাররা জানতে পারেন, এই টাকা লগ্নি করা হয়েছে একটি বেসরকারি ফিনান্স সংস্থায়। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডে তাদের অফিস রয়েছে। অভিযোগকারীর টাকা এই কোম্পানির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় খাটানো হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে, এই সংস্থার আলুর বন্ড বাজারে ছাড়ার কোনও প্রয়োজনীয় অনুমতি নেই। তদন্তে উঠে আসছে, শুধু একজনই নয়, আলুর বন্ড দেওয়া হবে বলে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা তুলেছে এই সংস্থা। আরও অভিযোগ আসতে শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে, সেবি বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি নেওয়া হয়নি। ইতিমধ্যেই এই সংস্থার বিষয়ে জানতে চেয়ে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থার কাছে চিঠি পাঠিয়েছে পুলিস। সংস্থার তিনজনের নাম হাতে এসেছে অফিসারদের। মূল অভিযুক্তকে জেরার জন্য নোটিস পাঠিয়ে থানা ডেকে পাঠানো হয়। কিন্তু তিনি আসেননি বলে দাবি পুলিসের। এরপরই শুক্রবার বিষয়টি জানানো হয় ব্যাঙ্কশাল আদালতে। তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়ে আবেদন করেছে পুলিস।