ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
গত ডিসেম্বর মাস থেকে এই পর্যন্ত একাধিকবার হাওড়া পুলিস কমিশনারেট এলাকায় এটিএম লুটের ঘটনা ঘটল। বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটলেও পুলিসের তৎপরতা বা দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তারের কোনও খবর নেই বাসিন্দাদের কাছে। তাই অনেকেই নিরাপত্তা ও আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নে প্রশাসনের ভূমিকার দিকে আঙুল তুলছে। প্রসঙ্গত, ডিসেম্বরে আন্দুলে এবং চলতি বছরের জানুয়ারিতে হাওড়ার বেলগাছিয়াতে তিনটি এটিএমে একই কায়দায় লুট হয়। তারপর পুলিসের তরফে ব্যাঙ্ককর্তাদের জানানো হয়েছিল যে, কোনওভাবেই রক্ষীবিহীন এটিএম রাখা চলবে না। কিন্তু তা যে স্রেফ কথার কথাই থেকে গিয়েছে, তা খালিয়া মোড়ের ঘটনায় ফের প্রমাণ হল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, এই ঘটনা নিয়ে মোড়ে মোড়ে জটলা চলছে। পুলিস ঝাঁপ বন্ধ করে দিয়েছে এটিএম কাউন্টারের। বেলার দিকে ঘটনাস্থলে তদন্তে আসেন হাওড়া পুলিস কমিশনারেটের ডিসি (নর্থ) অংশুমান সাহা। তিনি বলেন, আগের এটিএম লুটগুলি যারা করেছে, এটা সেই একই গ্যাং করেছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, গ্যাস কাটার ব্যবহার হয়েছে। দুষ্কৃতীরা কাউন্টারে ঢুকে শাটার নামিয়ে দিয়েছিল। আবার বেরিয়ে যাওয়ার সময় তা নামিয়ে দিয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সকালে এটিএম কাউন্টার ঝাড়পোঁছ করতে এসে প্রথম বিষয়টি দেখেন এক সাফাইকর্মী। তিনি এলাকার লোকজনকে জানান। লিলুয়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিস আসে।
এটিএম কাউন্টার যে রক্ষীবিহীন অবস্থায় চালু ছিল, তা নিয়ে পুলিস কী বলছে? ডিসি (নর্থ) অংশুমানবাবু বলেন, আমরা তো প্রত্যেক মাসে মিটিং করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে বলছি। এটায় কেন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ হয়নি, তা জানতে চাওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে। তিনি বলেন, পাশেই হাইরোড অবস্থিত হওয়ায় রাতেও লোকজনের যাতায়াত লেগে থাকে। তাই হয়তো কর্তৃপক্ষ হাল্কাভাবে নিয়েছিল বিষয়টা। তিনি আরও জানান, আমরা আগের এটিএম লুটের ঘটনাগুলির সঙ্গে এই ঘটনাকে মিলিয়ে দেখছি। আগের জায়গাগুলিতেও তদন্তকারী টিম পাঠানো হয়েছে।