ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
পবিত্রর বাড়ি শেওড়াফুলিতে। বাবার মৃত্যুর পর গাড়ির খালাসি হিসেবে ১২ বছর বয়সে কাজে যোগ দেয় পবিত্র। দুই বছর পরেই স্টিয়ারিং ধরে। ৮ বছর ধরে সে গাড়ির চালকের পেশায়। পাঁচ বছর হল পুলকার চালাচ্ছে। দুই বছর সে বিনা লাইসেন্সে গাড়ি চালিয়েছে। ২০১৭ সালে ড্রাইভিং লাইসেন্স হয়েছে তার। চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, শেওড়াফুলি থেকে সুমোতে পডুয়াদের তুলে বৈদ্যবাটি চৌমাথা পেট্রোল পাম্পের কাছে নিয়ে আসত সে। আর শামিম শ্রীরামপুর থেকে আরেকটি পুলকারে পড়ুয়াদের নিয়ে পাম্পের কাছে আসত।
ঘটনার দিনও সুমো নিয়েই শেওড়াফুলি থেকে বেরিয়েছিল চালক পবিত্র। বৈদ্যবাটির পেট্রল পাম্পে সুমোর পড়ুয়াদের তোলা হয় পুলকারে। শামিমকে সুমোর চাবি দিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত পুলকার নিয়ে স্কুলের উদ্দেশে দিল্লি রোড ধরে বেরিয়ে পড়েছিল পবিত্র। পুলকারে থাকা কচিকাঁচারা গাড়ির মধ্যে শান্ত থাকত না। তাদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে বিরক্ত হত পবিত্র। সে তাদের প্রায়দিন বকাঝকাও দিত। ঘটনার দিনও কচিকাঁচাদের সামান্য বকা দিয়েছিল সে।
হাসপাতালের বেডে শুয়ে চালক পবিত্র বলল, আমার সামনে একটা লরি ছিল। লরিটা দ্রুত গতিতেই যাচ্ছিল। আমি ছিলাম ঠিক পিছনে। আচমকা লরিটা ব্রেক কষে বাঁ দিকে চাপে। সেই সময় আমি ওকে ওভারটেক করতে যাই। লরিটি কোনও ইন্ডিকেটর ছাড়াই ইউ টার্ন নিতে যায়। তখনই আমার গাড়ির বাঁ দিকে সজোরে ধাক্কা লাগে। আমার গাড়ির স্পিড কম ছিল বলে নয়ানজুলিতে নেমে যাই। তখনই গাড়ি উল্টে যায়। পবিত্রর দাবি, আমিই কাদা থেকে বাচ্চাদের বের করতে থাকি। তারপর আরও লোকজন ছুটে আসে।
চালকের স্ত্রী নিকিতা দাস বলেন, আমার স্বামী দীর্ঘদিন গাড়ি চালাচ্ছে। অ্যাম্বুলেন্স চালিয়েছে। স্কুল পডুয়াদের গাড়ি চালাচ্ছে অনেক দিন হল। ওর গাড়ি চালানো নিয়ে সকলেই প্রশংসা করে। ওকে এখনও ঋষভের মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়নি, কারণ বুকে ব্যথা রয়েছে। ও প্রতিদিনই ঋষভ আর দিব্যাংশুর খবর নিয়েছে। এদিনও ওদের কথা জানতে চেয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পোলবা থানা থেকে দুই দিন পুলিস আধিকারিক এসে হাসপাতালে চালকের সঙ্গে কথা বলেছেন। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পোলবা থানা থেকে কোনও নির্দেশিকা আসেনি। কল্যাণী থানার এক পুলিস কর্মী চালককে সর্বদা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।