ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
সৃজনের পাশের বাড়িতে থাকে মেধা মুখোপাধ্যায়। সে বয়সে সামান্য বড়। কিন্তু খেলাধুলো একসঙ্গেই চলত। সেও সকাল থেকে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে। স্কুল থেকে ফিরে তাদের সঙ্গেই তো কাটত ঋষভের দুপুর, বিকেল। তাদের স্কুল আলাদা হলেও ধোবিঘাট, ফেরিঘাটের এই পাড়াতে খেলার সব স্মৃতি এখনও জীবন্ত। শনিবার দুপুরে যখন ঋষভের নিথর দেহ ঢুকছে, তখন সৃজনের মা চম্পাদেবী, মেধা, রণবীর, বিহানদের মা-বাবারা নিজেদের সন্তানদের সামলাতে ব্যস্ত। মেধা ঠোঁট ফুলিয়ে বলেছে, আমি যাব না। তোমরা যাও!
২৩,এ বেনিয়াপাড়া লেনের বসুন্ধরা অ্যাপার্টমেন্টে থাকত ঋষভ। তার বাড়ির সামনেই খেলার সঙ্গী রণবীর আর বিহানের বাড়ি। বন্ধু কেমন আছে, বাবার কাছে জানতে চেয়েছিল রণবীর শুক্রবার রাতেই। তাকে বলা হয়েছিল, ভালো হয়ে উঠছে সে। সকালে ভিড় দেখে ছোট হলেও বুঝে গিয়েছে সবটাই। শ্রীরামপুর-বারাকপুর ফেরিঘাটের মোড়ে লজেন্স, চিপসের দোকান উত্তমকাকুর। দোকানের ঝাঁপ ফেলে বসেছিলেন। কথায় কথায় জানালেন, তাঁর দোকানে লজেন্স আনতে আসত হাসিখুশি ঋষভ। বাংলা বলতে পারত না। তাও ভাঙা ভাঙা বাংলা বলার চেষ্টা করত। আর খুব হাসত। আঙ্কল বলেই সম্বোধন করত তাঁকে।
শনিবার সকাল থেকে এলাকার সব দোকানপাট বন্ধ। একেবারে সকালে ঋষভের মৃত্যুর খবর জানাজানি হয়ে যাওয়ার পর থেকে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে ধোবিঘাট মোড়ে। চম্পাদেবী বললেন, আমরা ওর মাকে বলেছিলাম, দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু কোথায় কী! বলে তিনিও কান্নায় ভেঙে পড়লেন এবার। ঋষভকে এই পাড়াতে খেলতে, ঘুরে বেড়াতে দেখেছেন সবাই। সেই হাসিখুশি ঋষভ স্কুলে গিয়ে আটদিন পর এভাবে ফিরে এল, চোখে দেখেও যেন মানতে চাইছেন না এলাকার বাসিন্দারা।