পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
কার্যত এই খুনের কিনারার আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল লালবাজার। কলকাতা পুলিসের এক সূত্র জানাচ্ছে, খুনের দিন তাঁর বাড়ি থেকে একটি মোবাইল ফোন খোয়া গিয়েছিল। সম্প্রতি নজরদারি চালাতে গিয়ে গোয়েন্দারা দেখেন, আচমকাই সেই মোবাইলটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এরপরই দক্ষিণ ২৪ পরগনায় হানা দিয়ে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে লালবাজার। ধৃত জানায়, সে এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে মাত্র ২০০ টাকা দিয়ে মোবাইলটি কিনেছে।
ধৃত যুবকের সূত্র ধরে গোয়েন্দারা ফেরিওয়ালাকে আটক করেন। কিন্তু তাতে লাভের লাভ কিছু হয়নি। কেননা, ফেরিওয়ালাও মোবাইলটি অন্য এক ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কিনেছিল। এভাবে কার্যত সিঁড়ি ভাঙা অঙ্কের মতো ধাপে ধাপে মোবাইলের আসল বিক্রেতার খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে লালবাজারের টিম। প্রায় ছয়-সাত হাত ঘোরার পর গোয়েন্দারা আসল বিক্রেতা মুর্শিদ শেখের সন্ধান পান।
কিন্তু ধরা পড়ার পর প্রথম থেকেই মুর্শিদ গোয়েন্দাদের বিভ্রান্ত করতে শুরু করে। প্রথমে গোয়েন্দাদের জানায়, সে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেই জানে না। কিন্তু নিজের অজান্তেই সে এক সময় স্মার্ট ফোন অবলীলায় খুলে ফেলে। এরপরই গোয়েন্দাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে সে কড়েয়ায় বিশ্বজিৎ বসু খুনের কথা স্বীকার করে। তার দাবি, তার সঙ্গে থাকা এক বন্ধু সেই রাতে বিশ্বজিৎ বসুর গলায় ছুরি চালিয়ে খুন করেছে।
কিন্তু কেন এই খুন? ধৃতকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর গোয়েন্দারা বলছেন, ২০১৯ সালের ৬ জুন রাতে চুরি করতেই ব্রড স্ট্রিটে বিশ্বজিৎবাবুর বাড়িতে ঢুকেছিল মুর্শিদ ও তার সঙ্গী। কিন্তু বিশ্বজিৎবাবু দেখে ফেলায় খুন হতে হয়েছে তাঁকে। উল্লেখ্য, অতীতেও বিশ্বজিৎবাবুর এই বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। ঘটনার সময় বাড়িতে একাই ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত ওই বৃদ্ধ। তাঁর ছোট মেয়ে বন্ধুর সঙ্গে একটি মলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে তারা ঢুকেছিল। এবার মুর্শিদের সেই বন্ধুর খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে লালবাজার। মুর্শিদ এই পলাতক বন্ধুটি নাকি অতীতেও কলকাতা পুলিসের অ্যান্টি বার্গলারি স্কোয়াডের হাতে ধরা পড়েছিল।