ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
অক্টোবর মাসে এই ন’জনকে চূড়ান্ত করা হয়েছিল। ভারত থেকে যাদবপুরের এই ছাত্রী ছাড়াও আরও একজন রয়েছেন। তিনি আবার একটি ড্রোন সংস্থার প্রধান। প্রত্যেক প্রতিযোগীকে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হয়। তাঁদের বলা হয়, চার মাসের মধ্যে প্রার্থীদের নিজস্ব ভাবনাকে কার্যকর করে একটি যন্ত্র তৈরি করতে হবে, যা সমাজে কাজে লাগতে পারে। অন্বেষাকে সাহায্য করার জন্য একটি দল তৈরি করা হয়। তাতে তাঁর বিভাগের অধ্যাপক পি বেঙ্কটেশ্বরন, একটি বেসরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক এবং অন্বেষার এক বন্ধু আছেন। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি এই ন’জনের তৈরি যন্ত্র উপস্থাপন (প্রেজেন্টেশন) করতে হবে। তাতে যোগ দিতে ২৩ তারিখ কেনিয়ার নাইরোবি যাচ্ছেন অন্বেষা এবং তাঁর বন্ধু।
কীভাবে কাজ করবে এই ড্রোন? ক্যামেরাযুক্ত এই ড্রোন বিভিন্ন জায়গায় উড়ে ছবি তুলতে পারবে। তাতে অডিও সিগন্যাল প্রসেসিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ঘন কুয়াশা কিংবা ধোঁয়ার কারণে ক্যামেরায় স্পষ্ট করে ছবি তোলা যায় না। সেক্ষেত্রে কোনও দুর্ঘটনা বা বিপর্যয়ের সময়ে কেউ আটকে থাকলে এই ড্রোন ত্রাতার ভূমিকা নিতে পারবে। অন্বেষা বলেন, এই ড্রোনের মধ্যে সাধারণ মানুষের শব্দ রেকর্ড করার ক্ষমতা রয়েছে। সেটি দিয়ে কোন জায়গায় মানুষ আটকে রয়েছে, সেই স্থান চিহ্নিত করে দিতে পারবে। বিভিন্ন পরীক্ষা করে তা দেখা গিয়েছে। যেমন বাঁকুড়ার একটি জঙ্গলে এই ড্রোন ওড়ানো হয়। একটি ঝোপের আড়ালে কয়েকজন মানুষকে রেখে দেওয়া হয়েছিল। ড্রোনটি সঠিক স্থান চিহ্নিত করে দিয়েছে। এই ড্রোন নিয়ে সরকার যদি তাঁর সাহায্য চায়, তাহলে কি তিনি তা করতে প্রস্তুত? ওই ছাত্রীর কথায়, নিশ্চয়ই, আমি সব রকম সহযোগিতা করতে তৈরি।
তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, যাদবপুরের ইতিহাসে এই প্রথম তৃতীয় বর্ষের কোনও পড়ুয়া প্রজেক্টের জন্য অনুদান পেলেন। অন্বেষা এবং তাঁর সহযোগীকে এই প্রতিযোগিতার জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন উপাচার্য এবং অধ্যাপকরা। এদিকে, এমন ড্রোন তৈরি করার পর ওই ছাত্রী নির্দিষ্ট পোর্টালে সেটি নথিভুক্ত করেছেন। সেই মতো তিনি ড্রোন অ্যাকনলেজমেন্ট নম্বরও পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এটি করা বাধ্যতামূলক।