ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
২০১৮ সালের ২ এপ্রিল বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় মেয়েটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ-১. তাঁর নাম করে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। ২. সেক্টর ফাইভ অঞ্চলের এক সংস্থায় এক সময়ের সহকর্মী যুবক সেইসব ভুয়ো অ্যাকাউন্টে তাঁর আপত্তিকর ছবি আপলোড করেছে। ৩. প্রণয়কালে ওই সহকর্মী তাঁকে ভিডিও কল করে প্রবল আবেগময় পরিস্থিতি তৈরি করে অভিযোগকারিণীর ছবি রেকর্ড করে রেখেছিল। পরর্তীকালে সেইসব চলমান ছবির স্ক্রিনশট ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপলোড করা হচ্ছে। ৪. তাঁর অনুমতি না নিয়ে, কিছুই না জানিয়ে অভিযুক্ত সেইসব ছবি রেকর্ড করেছে।
আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সহকর্মী যুবকের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ এবং আরও ভালো কাজের সন্ধানে মেয়েটি সেই চাকরি ছেড়ে দেয়। এতে ক্ষুব্ধ হয় সেই যুবক। সম্পর্ক ভেঙে দিলে ফল ভালো হবে না বলে হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী মেয়েটির বোন ও ভাইকেও হুমকি দেওয়া হয়। এই অবস্থায় প্রথমেই ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সাহায্য চাওয়া হয়। সেখান থেকে পাওয়া তথ্যসূত্রে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার অভিযোগ প্রমাণিত হয়। সেইসব অ্যাকাউন্টে আপত্তিকর ছবি আপলোড করার অভিযোগও প্রমাণিত হয়। আর এসবের সূত্রে ধরে অভিযুক্তের হদিশ মেলে। সেইসূত্রে ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল অভিযুক্তকে তার কর্মক্ষেত্র থেকে পরিচয়পত্র সহ গ্রেপ্তার করা হয়। অপরাধমূলক এই কাজে যেসব যন্ত্র ব্যবহৃত হয়েছিল, সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। ২০১৮ সালেই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করে কলকাতা হাইকোর্ট।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, অন্তত যে তিনটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে আপত্তিকর ভিডিও ও স্থির ছবি আপলোড করা হয়েছিল, তা আদালতে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য মেয়েটির ছয়মাত্রিক ছবি তুলে ফরেনসিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল। যাতে ওইসব ভিডিও ও স্থির ছবি যে মেয়েটিরই, তা প্রমাণ করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় ফৌজদারি আইনের পাঁচটি ধারায় অভিযুক্তকে জেল ও জরিমানা করা হয়। মেয়েটির সম্মানহানির জন্য এক বছর এবং ভুয়ো ঠিকানা থেকে অপরাধ করার জন্য আরও এক বছর কারাবাসের সাজা ঘোষিত হয়েছে। অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের দু’টি ধারায় অভিযুক্তকে জরিমানা করা হয়।