নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সাগরে লাইসেন্সবিহীন বেসরকারি ম্যাজিক সহ একাধিক গাড়ির উপর নজরদারি শুরু করেছে সুন্দরবন পুলিস জেলা। দু’দিন আগে দু’টি ম্যাজিক গাড়ির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। তাতে মারা যান ১জন। আহত হন ২৬ জন। তার জেরে সাগরের কচুবেড়িয়া থেকে কপিলমুনি মন্দির এবং চেমাগুড়ি পর্যন্ত যান শাসন শুরু হয়েছে। তাতে সায় দিয়েছেন বিধায়ক বঙ্কিম হাজরাও। বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরে সেই শাসন চলেছে। শুক্রবারও তা অব্যাহত ছিল। গাড়ি থামিয়ে লাইসেন্স দেখা হয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহন অবস্থায় গাড়ি আটক করা হয়। পুলিস সুপার বৈভব তেওয়ারি বলেন, এখন থেকে বছরভর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ চলবে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ থেকে শুরু করে বেপরোয়া চালানো কোনওটাই বরদাস্ত করবে না পুলিস। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ১৩টি গাড়ির বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় কেস রুজু করা হয়েছে। পাশাপাশি ১০টি গাড়ির মাথায় অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য তা আটক করা হয়। ভেঙে ফেলা হয়েছে বাসে যাত্রী নিয়ে যাওয়ার রডও। জরিমানা আদায় হয়েছে ৩২ হাজার টাকা। একইভাবে এদিন হেলমেটবিহীন মোটরবাইক ধরা হয়েছে। পাশাপাশি বেপরোয়া গাড়ি চালানো ও অতিরিক্ত যাত্রীবহনের জন্য একাধিক গাড়িকে জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছে ৫ হাজার ৩০০ টাকা।
সাগরের কচুবেড়িয়া থেকে কপিলমুনির মন্দির পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার রাস্তায় দীর্ঘদিন ধরে কোনও ট্রাফিক নজরদারি নেই। মেলায় সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ হলেও বাকি সময় যান শাসনে কাউকে পাওয়া যায় না। এটা সাগরদ্বীপের মানুষের অভিজ্ঞতা। শুধু তাই নয়, সেখানে বেসরকারিভাবে যত গাড়ি চলে, তার অনেকের বৈধ লাইসেন্স নেই। তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে যাত্রীরা অভিযোগ করলেও রাজনৈতিক কারণে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। ফলে বেপরোয়া গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে শাসন ছিল না। সেই কারণে প্রতিদিনই পথ দুর্ঘটনা হচ্ছিল। ওই ঘটনার পর টনক নড়ে সকলের। পুলিস সুপার বলেন, যান শাসনের পাশাপাশি ভবিষ্যতে স্পিড মিটার বসানোর কথাও ভাবা হয়েছে।