পুরনো রোগ চাগাড় দেওয়ায় দেহকষ্ট ভোগ করতে হতে পারে। তীর্থ ভ্রমণ ও ধর্মকর্মে আত্মিক তৃপ্তিলাভ। ... বিশদ
দেড় বছর ধরে পানিহাটিতে পুরবোর্ড নেই। প্রশাসক পুরসভা চালাচ্ছেন। গত দেড় বছরে পুর পরিষেবার দফারফা অবস্থা। সাফাই থেকে নিকাশি, রাস্তাঘাট লাটে উঠেছে পুর পরিষেবা। শাসকদলের প্রতি ‘ক্ষিপ্ত’ পানিহাটির মানুষ। পুরভোটের আগে ড্যামেজ কন্ট্রোলে এখন আসরে নেমেছেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। সেকারণেই মাধ্যমিক পরীক্ষাকে তাঁরা হাতছাড়া করতে চাইছেন না। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডে প্রায় চার হাজার পরীক্ষার্থী এবার বসছে মাধ্যমিকে। পরীক্ষার্থীদের নামের তালিকা ধরে ধরে বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছো জানিয়ে এসেছেন স্থানীয় প্রাক্তন কাউন্সিলার, যুব নেতা এবং টিএমসিপি’র নেতারা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি ছাপানো একটি শুভেচ্ছাপত্রও দেওয়া হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এই শুভেচ্ছা পর্ব পরীক্ষা শুরুর আগের দিন পর্যন্ত চলেছে। পরীক্ষা শুরু হওয়ার দিন থেকে তাদের কোনও ‘ডিস্টার্ব’ করা হয়নি।
তৃণমূল সূত্রের খবর, পানিহাটি এলাকায় সুশীলকৃষ্ণ নেতাজি স্কুল, পানশিলা দেশবন্ধু বয়েজ স্কুল, সোদপুর হাইস্কুল সহ ১০টি পরীক্ষা গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে যুব তৃণমূল এবং টিএমসিপি ক্যাম্প করেছে। রাখা হয়েছে পরিস্রুত পানীয় জল। প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর দিন উত্তরপত্র লেখার বোর্ড ও কলম দেওয়া হয়েছে। পূর্ব পানিহাটি শহর যুব তৃণমূলের সভাপতি সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, সামনে পুরভোট বলে নয়, প্রতি বছর আমরা পরীক্ষার্থীদের নানা সামগ্রী দিয়ে থাকি। ওদের বাড়িতে গিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়ে আসি। পরীক্ষার রেজাল্টের পর জুলাই মাসে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়।
পানিহাটি, সোদপুর, আগরপাড়া, ঘোলার বিভিন্ন জায়গায় মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছে ব্যানার, ফ্লেক্স ঝুলছে। সবকটিই শাসকদলের তরফে। সিপিএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআইও কিছু কিছু এলাকায় দেওয়াল লিখন করেছে। তবে পিছিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির। তাদের দু’-একটি মাত্র ফ্লেক্স দেখা গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছা জানানো বা পরীক্ষা কেন্দ্রের সামনে ক্যাম্প করেনি তারা। বিজেপির পানিহাটি পশ্চিম মণ্ডলের সভাপতি তুফান দে বলেন, পরীক্ষার আগে তাদের বাড়ি গেলে তারা ‘ডিস্টার্ব’ হবে। সেটা উচিত না। বরং আমরা অভিভাবকদের ফোন নম্বর জোগাড় করে ফোন করেছি। পরামর্শ দিয়েছি, পরীক্ষার্থীরা যেন মনযোগ দিয়ে পড়াশোনা করে। লাস্ট মিনিটের সাজেশনগুলি যেন চোখ বুলিয়ে নেয়। তুফানবাবু বলেন, গত বছর ছ’টি প্রশ্নপত্রই ফাঁস হয়েছিল। এবারও সেই পথেই এগচ্ছে। এ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার কী দশা, তা তো অভিভাবকরা নিজের চোখেই দেখতেই পাচ্ছেন। আমাদের আর বলার প্রয়োজন পড়ছে না।