বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে গোটা শহরেই পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকভাবে জমানো এবং নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলার কাজ শুরু হবে। পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এখন কেবলমাত্র ২২ নম্বর ওয়ার্ডে এই কাজ শুরু হয়েছে। পচনশীল নয় এমন বা প্লাস্টিক বর্জ্যকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার জন্য ইউনাইটেড নেশনসের একটি প্রকল্পের সহযোগিতায় মেশিন বসেছে ইতিমধ্যে। এই কাজ পুরোদমে শুরু হলে ওই মেশিন চালু রাখার জন্যই প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পরিত্যক্ত প্লাস্টিক দরকার। তখন যাতে এর জোগান কমে না যায়, তার জন্য এখন থেকেই এই স্কুল পড়ুয়াদের সচেতন করতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে হাওড়া পুরসভার প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, প্রথমে ছাত্রছাত্রীদের কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সার্বিকভাবে পরিবেশ নিয়ে কিছু প্রশিক্ষণ ও পাঠ দেওয়া হবে। তারপর থাকবে প্রশ্নোত্তরের একটি পর্ব। সেখানে সফল হলে গ্রিন ভলান্টিয়ার হিসেবে তার নাম নথিভুক্ত করা হবে। ছাত্র-ছাত্রীদের প্রশিক্ষণ দেবে একটি বেসরকারি পরিবেশপ্রেমী সংস্থা। বিজিন কৃষ্ণা আরও বলেন, এখন থেকেই এ ব্যাপারে সচেতন না হলে হাওড়ায় এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বড়সড় সমস্যার আকার নেবে। আমরা অনেক একটা বড় পরিকল্পনা নিয়ে নেমেছি। তা সফল হবে বলে আশা করছি।
হাওড়া শহরের বর্জ্য ফেলা হয় বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। কিন্তু সেখানকার ধারণক্ষমতা আর একেবারেই নেই। আবর্জনার পাহাড়ে মাঝেমধ্যেই ধস নামে। গত বছর বর্ষায় আবর্জনার পাহাড়ে ধস নেমে একটি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তারপর টনক নড়ে প্রশাসনের। সেদিন থেকেই হাওড়ায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিকল্প রাস্তা খোঁজা হচ্ছিল। বেলগাছিয়ায় বায়ো মাইনিংয়ের মাধ্যমে আবর্জনার পাহাড়ের উচ্চতা কমানোর কাজ শুরু করতে চলেছে পুরসভা। পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নানা প্রকল্প কার্যকর করতে তৎপর হয়েছে তারা।