ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ প্রত্যাশিত সাফল্য নাও দিতে পারে। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতি। শ্বাসকষ্ট ও বক্ষপীড়ায় শারীরিক ক্লেশ। ... বিশদ
‘কেএমআরসিএল’-এর তরফে এদিন এই সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিল, প্রথম বোরিং মেশিন খারাপ হয়ে যাওয়ার কারণে এবার দ্বিতীয় মেশিন দিয়েই আপ এবং ডাউন, দু’লাইনেরই বাকি পড়ে থাকা টানেল কাটার কাজ হবে। নতুন করে কাজ শুরুর আগে তারা অনেক বেশি সর্তক। এই ধরনের বিপর্যয়ের পুনরাবৃত্তি আটকাতে একাধিক সাবধানতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞ কমিটির অন্যতম সদস্য জন ইন্ডিকট জানিয়েছেন, যেহেতু ওই এলাকায় বেশিরভাগই বাড়ি পুরনো এবং সেগুলোর অবস্থা ভালো নয়, তাই ফের টানেল কাটার কাজ শুরুর আগে বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিট সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার বিভিন্ন বাড়ির ভৌগোলিক অবস্থা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টিবিএম-২ বা দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিনটিকে আরও উন্নততর করা হয়েছে। নয়া টেকনিক্যাল আধিকারিকদের নিয়ে আসা হয়েছে।
তবে, ‘কেএমআরসিএল’-এর চিন্তার মূল কারণই হল মাটির নীচের জলস্তর। গত ৩১ আগস্ট এই জলস্তরেই ধাক্কা লেগে বিপর্যয় ঘটেছে বউবাজারে। মেট্রো টানেলের ভিতর জল-কাদাবালি ঢুকে সমস্যা বাড়িয়েছে। সেই ‘ভুল’ যেন আর না হয়, সে ব্যাপারেই আবার সতর্ক তারা। বিশেষজ্ঞ কমিটির কথায়, টানেল কাটার সময় ‘লিকেজ’ যেন না হয় বা হলেও তা যেন বিভিন্ন রাসায়নিক মিশ্রণের মাধ্যমে কমপক্ষে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই মেরামত করে ফেলা সম্ভব হয়, সেই ব্যবস্থাই রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, ফের কাজ শুরু করার আগে এখন চলছে প্রাক মুহূর্তের প্রাথমিক প্রস্তুতি, একাধিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা। প্রথম বোরিং মেশিন, যা নিয়ে গত আগস্ট মাসে বিপত্তি, বউবাজারে মাটির তলাতেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তা ভেঙে মাটির তলা থেকে তোলার কাজ হবে, তেমনটাই জানিয়েছে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা। হাইকোর্টের তরফে নতুন করে কাজ শুরুর অনুমতির পর দ্বিতীয় বোরিং মেশিন, যার কাজ পিছিয়ে ছিল, তা দিয়েই টানেল কাটার কাজ হবে। তার জন্য প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করা হয়েছে। দ্বিতীয় বোরিং মেশিনের কাজ ধর্মতলা থেকে ১.৩৭ কিলোমিটার দূরে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারের কাছ আটকে ছিল এতদিন। বিশেষজ্ঞ কমিটি জানিয়েছে, সেই মেশিন দিয়েই শিয়ালদা পর্যন্ত টানেল কাটা হবে। সেই কাজ শেষ হতে মোটামুটি মাস পাঁচ-ছয়েক সময় লাগবে। তারপর সেই মেশিন দিয়ে অপর টানেল কাটার কাজ শুরু করতে সময় লাগবে আরও তিন মাস। সেই কাজ বউবাজার পর্যন্ত সমাপ্ত হতে সামনের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের মার্চ-এপ্রিল মাস।
সেই কাজ নিয়েই ফের আতঙ্ক ধাওয়া করছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। ইতিমধ্যেই এসেছে আবারও ঘরছাড়ার ফরমান। চৈতন্য সেন লেনের দুটি নতুন করে বাড়ি খালি করা হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আগের বারের পুনরাবৃত্তি এবার হবে না বলেই আশ্বস্ত করলেন তাঁরা। নতুন করে বিপর্যয় আটকাতে এবার কোমর বেঁধেই নামছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ।