বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বৈঠকে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জেলা পর্যবেক্ষক। বিশেষ করে তারকেশ্বর ও ডানকুনি নিয়ে সংশ্লিষ্ট নেতাদের সমঝে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে দলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবকে ওই জাতীয় সমস্যা মিটিয়ে পূর্ণশক্তিতে দল যাতে মাঠে নামতে পারে তা নিশ্চিত করতে বলেছেন ববি হাকিম। প্রয়োজনে তাঁকে পুর নেতৃত্বকে পৃথক বৈঠক করতেও বলা হয়েছে। জেলা সভাপতি অবশ্য বলেন, দল পুরভোট নিয়ে কিছু নির্দেশ দিয়েছে, তা ঠিকঠাক রূপায়ণ করা হবে। এর বাইরে দলীয় পরিকল্পনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক দলের এক জেলা নেতা বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরকার ও পুরসভার উন্নয়নের প্রচার নিয়ে যাওয়ার কথা জেলা পর্যবেক্ষক বলেছেন। পারলে শুক্রবার থেকেই প্রচারে নামার কথা বলা হয়েছে। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে পুরভোটে প্রভাব ফেলে তবে কোনও নেতাকে ছেড়ে কথা বলবে না রাজ্য নেতৃত্ব। ওই বিষয়টিও বৈঠকে ববি হাকিম স্পষ্ট করে দিয়েছেন।
বুধবার কলকাতার চেতলায় নিজের দলীয় অফিসে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব ও পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের ডেকেছিলেন ববি হাকিম। রাতে সেখানেই দীর্ঘ বৈঠক হয়। ১৩টি পুরসভার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান, পুরসভার তত্ত্বাবধায়ক বিধায়ক, জেলা সভাপতিরা ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন। বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের জেলা পর্যবেক্ষক মূলত বাড়ি বাড়ি প্রচারের উপরে জোর দিয়েছেন। সেই প্রচারের কাজ দ্রুত শুরু করতে বলা হয়েছে। এই বাড়ি বাড়ি সফর থেকে পুরসভা নিয়ে ক্ষোভবিক্ষোভের আঁচ পাওয়ার বিষয়টিতে নজর দিতে বলা হয়েছে। পুরসভায় মানুষের সমর্থন নিয়েই জিততে হবে আগে একবার এবিষয়ে নেতাদের প্রস্তুত থাকতে বলেছিলেন ববি হাকিম। বুধবারের বৈঠকে তা আরও একবার জানিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বুধবারের বৈঠকে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে তিনি নেতাদের কার্যত তিরস্কার করেন। বিশেষ করে ডানকুনির সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ও তারকেশ্বরে চেয়ারম্যান বনাম ভাইস চেয়ারম্যানের লাগাতার দ্বন্দ্ব নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন জেলা পর্যবেক্ষক। একইসঙ্গে বাঁশবেড়িয়া পুরসভার কিছু বিষয় নিয়েও ক্ষোভ গোপন করেননি তিনি।