রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরা অবহিত বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে, সেই বৃদ্ধের চিকিৎসা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য শিশুমঙ্গলের কাছ থেকে চেয়ে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্যভবন। স্বাস্থ্যদপ্তরের এক পদস্থ কর্তা জানান, ওদের পাঠানো প্রাথমিক রিপোর্টে মৃতের এইচওয়ানএনওয়ান বা সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়েছিল বলে জানিয়েছে শিশুমঙ্গল। আমাদের কাছে বিস্তারিত তথ্য এলেই নির্দিষ্ট কমিটির কাছে যাচাইয়ের জন্য পাঠাব। তাঁর দাবি, অনেক ক্ষেত্রেই বয়স্ক মানুষের মৃত্যুতে কোনও একটি কারণ থাকে না। বার্ধক্যজনিত নানা অসুখবিসুখের সঙ্গে ভাইরাস সংক্রমণ যুক্ত হয়ে মৃত্যুকে ত্বরাণ্বিত করে। প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু এবং করোনা ভাইরাস নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের বর্তমানে যা মনোযোগ, তার সিকি ভাগও সোয়াইন ফ্লু পায় কিনা সন্দেহ। অথচ, ২০১৯ সালেও সারা বছর ধরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই রোগে মৃত্যুর খবর এসেছে। অসুস্থ হয়েছেন প্রচুর সংখ্যক মানুষ।
মৃতের পড়শিরা জানিয়েছেন, সোমনাথবাবুর দুই মেয়ে ও স্ত্রী রয়েছেন। এক মেয়ে দিল্লিতে চাকরি করেন এবং দ্বিতীয়জন স্কুল শিক্ষিকা। পরিজনরা জানালেন, ওই বৃদ্ধের বেশ ক’দিন ধরে কাশি হচ্ছিল। তাঁর শরীরের অবস্থাও ভালো ছিল না। তাঁকে চিকিৎসক দেখানোর জন্য বলা হলেও তিনি রাজি হননি। কিন্তু পরবর্তীকালে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এলাকার কাউন্সিলার তথা ১১ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তারকেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, শিশুমঙ্গল হাসপাতালে ব্রঙ্কো নিউমোনিয়ার চিকিৎসা করা হয়। কিন্তু চিকিৎসকরা দেখেন, তাঁর কাশি ও জ্বর কোনওভাবে কমছে না। এরপরই তাঁর রক্তের নমুনা ওই হাসপাতাল থেকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বেলেঘাটা আইডি-তে। সেখানকার রিপোর্টেই সোয়াইন ফ্লু ধরা পড়ে। ১৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে সোমনাথবাবুর শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হয়ে পড়ে। শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিও কাজ করা কার্যত বন্ধ করে দিতে থাকে। এরপরই ১৭ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। পরিজনরা জানালেন, তাঁদের বাড়ির মানুষ যে সোয়াইন ফ্লু’তে আক্রান্ত হয়েছেন, তা কোনওভাবেই তাঁরা বুঝতে পারেননি। জ্বর-কাশি যেমন হয়, তেমনই হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এমন বাড়বাড়ন্ত হল, যে তাঁকে বাঁচানো গেল না।