বিমাসূত্রে ধনাগম হতে পারে। প্রেম-প্রণয়ে আনন্দ। কাজকর্মে অগ্রগতি ও সুনাম। ... বিশদ
যাত্রীদের অনেকেরই বক্তব্য, আসলে নতুন মেট্রো পথে সফরের অভিজ্ঞতা নিতেই বহু যাত্রী সফর করেছিলেন প্রথম দিকে। প্রথম পর্বে এতটাই কম দূরত্বের মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে যে, আদতে তা অনেকের কাছেই ফলপ্রসূ হচ্ছে না। যাত্রীদের বাড়তি ভাড়া গুনে ‘ব্রেক জার্নি’ করে গন্তব্যে পৌঁছতে হচ্ছে। সেই কারণে ক্রমেই কমছে যাত্রী সংখ্যা।
মেট্রো রেল সূত্রের খবর, প্রথম পর্বে ৪.৮৮ কিলোমিটারের মধ্যে ট্রেন চলাচল করছে। এই পর্বে মোট ছ’টি স্টেশন রয়েছে। সেগুলি হল, সেক্টর ফাইভ, করুণাময়ী, সেন্ট্রাল পার্ক, সিটি সেন্টার, বেঙ্গল কেমিক্যাল এবং স্টেডিয়াম। ২০ মিনিট অন্তর ট্রেন চালানো হচ্ছে। তাতে ৩৭টি করে আপ ও ডাউন লাইনে ট্রেন চলাচল করছে। রবিবার চলছে ২৫টি করে আপ ও ডাউন লাইনের ট্রেন। মেট্রোর এক কর্তা বলেন, পরিষেবা দেওয়ার জন্য মোট পাঁচটি রেককে তৈরি রাখা হয়েছে। তার মধ্যে প্রতিদিন তিনটি রেককে ব্যবহার করা হচ্ছে। যাত্রীরা টোকেন ও স্মার্ট কার্ড ব্যবহার করে সফর করতে পারছেন। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি একদিনেই ১৩৫টি স্মার্ট কার্ড বিক্রি হয়েছিল। বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪২টি। তবে পুরনো মেট্রো পথের স্মার্ট কার্ডও নয়া মেট্রোয় ব্যবহার করতে পারছেন যাত্রীরা। চালুর পর থেকে নয়া লাইনে সবচেয়ে বেশি যাত্রী হয়েছিল বাণিজ্যিকভাবে পরিষেবা শুরুর প্রথমদিন। তারপর সবচেয়ে বেশি যাত্রী হয় গত রবিবার। কিন্তু তারপর থেকেই যাত্রী সংখ্যা ক্রমেই কমছে।
যাত্রী সংখ্যা কমতে থাকা প্রসঙ্গে কী বলছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ? মেট্রোর মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, নতুন মেট্রো পথে প্রতিদিনই বহু যাত্রী সফর করছেন। আগামীদিনে যাত্রী সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই আশা করছি।
এই মেট্রো পথে ফুলবাগান স্টেশন পর্যন্ত ট্রেন ছুটবে কবে? মেট্রো রেল সূত্রের খবর, ফুলবাগান স্টেশন সহ লাইনের যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে। বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চালানোর জন্য অনুমোদন চেয়ে চলতি মাসেই আবেদন করা হবে ‘কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটি’ (সিআরএস)-র কাছে। সিআরএস সম্প্রসারিত মেট্রো পথ খতিয়ে দেখে অনুমোদন দিলেই ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন চালানো হবে। আগামী এপ্রিল মাস থেকে ফুলবাগান পর্যন্ত ট্রেন চালানো সম্ভব বলে আশাবাদী মেট্রোর কর্তারা।