বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
বলাগড় থানার পুলিস জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। বাড়ির কর্তা অরবিন্দ দাস বলেন, রাতে আমার ছেলে নাইট ডিউটিতে বেরিয়েছিল। ভোররাতে দেখি কয়েকজন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে টাকা গয়না বের করে দেওয়ার জন্যে বলছে। আমাদের একটি ঘরে বসিয়ে রেখে একজনকে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে পাহারায় রাখে। তারপর গোটা বাড়ি খানাতল্লাশি করে আমার ব্যবসার এক লক্ষ টাকা, বাড়ির সব গয়না নিয়ে চলে যায়।
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সিভিক ভলান্টিয়ার অচিন্ত্যবাবুর বাবা এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। বাড়িতে তিনি, তাঁর স্ত্রী, বউমা ও নাতি ছিল। ভোররাতে আচমকা আওয়াজে অরবিন্দবাবু ঘুম ভেঙে যায়। তখনই তিনি দেখেন মুখ ঢাকা অবস্থায় চারজন দুষ্কৃতী ঘরে ঢুকে পড়েছে। এরপর দুষ্কৃতীরা পাশের ঘর থেকে অচিন্ত্যবাবুর স্ত্রী ও ছেলেকে এনে চারজনকে একঘরে বসায়। তারপরেই লুটপাট শুরু করে। ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা বাইরের গ্রিলের দরজা সহ ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেছিল। ঘটনার পর থেকেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকাতেও।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মহলের একাংশের অভিযোগ, পুলিসের কাজে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতেই যদি দুষ্কৃতী হানা হয় তবে সাধারণ বাসিন্দারা কীভাবে নিরাপদ থাকতে পারে। প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান, ওই পরিবার আগে থেকেই দুষ্কৃতীদের নজরে ছিল। যথেষ্ট খোঁজখবর নিয়েই দুষ্কৃতীরা কাজে নেমেছিল। পুলিসের দাবি, নির্দিষ্ট কিছু সূত্রের ভিত্তিতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।