কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তার পরিপ্রেক্ষিতে বকুলতলা থানা বৃহস্পতিবার তদন্তে নামে। মণিরতটের উত্তরগড়ের একেবারে ভিতরে একটি সাইবার দোকানে অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সংশ্লিষ্ট দোকান থেকে বিধায়কের নামে ছাপানো একাধিক নকল প্যাডের পাতা, স্বাক্ষর সংবলিত রাবার স্ট্যাম্প বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। থানার এক সিনিয়র অফিসার বলেন, দোকানের মালিক সাবির হোসেন মোল্লাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার বাবা সাবির মোল্লা, সুরজিৎ বর ও হজরত মোল্লাকে ধরেছে। তাদের এদিন বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে পুলিসে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিস জানিয়েছে, ওই নকল প্যাডকে কাজে লাগিয়ে আধার কার্ড কেউ পেয়েছে কী না সে ব্যাপারে অভিযুক্তদের জেরা করা হবে। বিশেষ করে জলপথে বাংলাদেশ থেকে আসা নাগরিকরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়নগরের বিধায়কের প্যাড জাল করা হয়েছে বলে কয়েকমাস আগে কানাঘুষো চলছিল। বিষয়টি বিধায়ক বিশ্বনাথবাবুর কানে যায়। কিন্তু কোনও প্রমাণ না থাকায় এ ব্যাপারে প্রশাসনিক কোনও পদক্ষেপ নেওয়া যাচ্ছিল না। দু’দিন আগে একটি রেসিডেন্সিয়াল শংসাপত্র তাঁর হাতে আসে। যার সঙ্গে হুবহু বিধায়কের নাম ছাপানো প্যাডের পাতার মিল রয়েছে। ভালো করে যাচাইয়ের পর বিধায়ক বুঝতে পারেন, তা নকল প্যাডের পাতা। সেখানে পাতার উপর বাঁ দিকে বিধায়কের নাম, নীচে রেফারেন্স নম্বর। মাঝে অশোকস্তম্ভ। একেবারে উপরে ডান দিকে ছাপানো বিধায়কের অফিসের ঠিকানা, মোবাইল নম্বর। তার নীচে তারিখের জায়গাতে লেখা ২২/১/২০২০। তারপর আরও একটু নীচে লেখা টু হুম ইট মে কনসার্ন। ওই প্যাডের পাতায় ১ নম্বর সোনাটিকারির বাসিন্দা বলে সুজাতা হালদার নামে একজনকে রেসিডেন্সিয়াল শংসাপত্র দেওয়া হয়েছে। থানা জয়নগর। বিষয়টি দেখার পর বিধায়ক বুঝতে পারেন এটা তাঁর নয়। তিনি পুলিসের কাছে নকল ওই প্যাডের পাতাটি জমা দিয়ে তদন্ত করতে বলেন। একই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দেন, ওই এলাকায় কাউকে তিনি তাঁর প্যাড দেননি। পুলিস তদন্তে নামে। একজনকে জেরা করে জানতে পারে বকুলতলা থানার মণিরতটের উত্তরগড় গ্রামের একটি সাইবারের দোকান থেকে বিধায়কের প্যাড সহ রেসিডেন্সিয়াল শংসাপত্র পাওয়া যাচ্ছে। বারুইপুর পুলিস জেলা জানিয়েছে, এ নিয়ে মণিরতটে অনেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাতে জানা গিয়েছে যে, এলাকায় সকলে জানত যে ওই দোকানের মালিকের সঙ্গে বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বিধায়ক তাঁকে ওই প্যাড দিয়েছেন। তা যে নকল কেউ জানত না।