রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
ঠিক কী পদ্ধতিতে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের মূল্যায়ন হবে? জেলা সভাপতির ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওয়ার্ডের ভোটারদের সঙ্গে সম্পর্ক, গত পাঁচ বছরে এলাকার ও ব্যক্তিগত উন্নতির খতিয়ান, দলীয় কর্মসূচি এলাকায় কেমন হয়, ঠিকাদার মহলের পছন্দ না কি অপছন্দের তালিকায় ওই কাউন্সিলার আছেন, স্থানীয় প্রয়োজনে মানুষ তাঁকে কতটা পেয়েছে, এমনই বেশকিছু বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে কাউন্সিলারের মূল্যায়ন করা হবে। ফলত, একাধিক মূল্যায়ন পর্বের মধ্যে দিয়ে এবারের পুরভোটে প্রার্থী হতে হবে দলের টিকিট প্রত্যাশীদের।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার ১৩টি পুরসভা নিয়ে পৃথক রিপোর্ট তৈরির কাজ জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব শুরু করে দিয়েছেন। স্থানীয় স্তরে তত্ত্বতালাশের সঙ্গে সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের কাছ থেকেও ওই কাউন্সিলারদের সম্পর্কে তথ্য নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, প্রার্থীতালিকা চূড়ান্ত হওয়ার আগেই নির্বাচনী ময়দানে হুগলির নেতৃত্ব নেমে পড়তে চাইছে। ইতিমধ্যেই দলনেত্রী নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় বুথস্তর পর্যন্ত নেতৃত্বকে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। পুর এলাকাগুলিতে ওই কাজের সঙ্গেই উন্নয়ন নিয়ে প্রচার শুরু করছে জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূল কংগ্রেসের হুগলি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, দল ঠিক কী নির্দেশ দিয়েছে তা প্রকাশ্যে বলা উচিত নয়। তবে দলের যাবতীয় নির্দেশ যেভাবে দায়িত্বের সঙ্গে পালন করি, পুরসভা বিষয়ক নির্দেশও সেভাবেই পালন করা হচ্ছে। দলনেত্রীর উন্নয়ন, স্বচ্ছতা, মানুষের পাশে থাকার নীতি যাঁরা যত ভালোভাবে মান্য করেছেন তাঁরা দলের সবচেয়ে যোগ্য প্রার্থী। আর চলতি মাসেই আমাদের কিছু দলীয় কর্মসূচি শুরু হচ্ছে। সেই সঙ্গে উন্নয়নকে সামনে রেখে জনমত গড়ার কাজ শুরু করা হবে। রাজ্য সরকার ও পুরসভাগুলির উন্নয়নের নিরিখেই আমরা মানুষের কাছে ভোটাধিকার প্রয়োগের আবেদন রাখব।
তৃণমূলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, আসন সংরক্ষণ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের তৎপরতার পরপরই তৃণমূল নেতৃত্ব পুরসভা ভোট নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বাঁশবেড়িয়া, হুগলি-চুঁচুড়া, চন্দননগর পুরসভাগুলি নিয়ে সেখানকার তত্ত্বাবধায়ক নেতা তথা বিধায়ক, মন্ত্রীরা প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক কাজ শেষ পর্বে। অন্যান্য পুরসভাগুলির ক্ষেত্রেও সেই প্রক্রিয়া চলেছে। এই তত্ত্বাবধায়কদের পুরসভার বর্তমান কাউন্সিলারদের কাজের মূল্যায়নের সঙ্গে জেলার শীর্ষ নেতৃত্বকেও একটি পৃথক মূল্যায়ন দলের রাজ্য নেতৃত্ব করার নির্দেশ দিয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের কাছে রাজ্য নেতৃত্বের ওই বার্তা এসে পৌঁছেছে। তারপরেই সমীক্ষার কাজ শুরু করেছেন জেলা সভাপতি। দলের অন্দরমহলের দাবি, দু’টি পৃথক সমীক্ষা থাকলে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যাবে এবং একটি স্বচ্ছতাও থাকবে। এই ভাবনা থেকেই ওই পরিকল্পনা করা হয়েছে। সমস্ত ক্ষেত্রেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বই নেবে।