কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
ভোট চলাকালীন সকাল থেকেই সজাগ ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তারা। উপাচার্য, রেজিস্ট্রারদের ক্যাম্পাসে টহল দিতে দেখা যায়। নিরাপত্তারক্ষীরাও সতর্ক ছিলেন। গোটা ক্যাম্পাস বিভিন্ন পোস্টার, ফেস্টুন এবং পতাকায় ঢেকে গিয়েছিল। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আরএসএস-বিজেপির বিরুদ্ধে প্রায় সব সংগঠনই ব্যানার লাগিয়েছিল। এবিভিপিও পাল্টা বাম-নকশাল সংগঠনগুলির বিরুদ্ধে নানা ইস্যু তুলে প্রচার করে। তবে এবারের ভোটে রাজনৈতিক ইস্যুর বাইরেও ক্লাস ভিত্তিক সমস্যার কথা শোনা যায় ভোটারদের মুখে। কোন বিভাগে কী সমস্যা, তা ছাত্র সংগঠনগুলি কীভাবে কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরেছে, দাবিদাওয়া মেটানো নিয়ে কতটা সফল হয়েছে তারা ইত্যাদি বিষয়গুলি প্রভাব ফেলেছে এবারের ভোটে। কয়েকজন প্রার্থী এ নিয়ে বলেন, এতদিন যে রাজনৈতিক মতাদর্শে ভোট হয়ে এসেছে, এবার তার প্রভাব কিছুটা হলেও কমেছে। বিষয়টি ভোটের ফলে বড়সড় হেরফের গড়ে দিতে পারে।
ভোট চলাকালীন বিক্ষিপ্ত কয়েকটি ঘটনা ঘটে। যদিও তা বড় আকার নেয়নি। যেমন এক ছাত্র তথ্যচিত্রের জন্য ভিডিও রেকর্ডিং করছিলেন। তা নিয়ে আপত্তি তোলেন বাকি পড়ুয়ারা। তাঁকে ধরে কর্তৃপক্ষের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থানায় পাঠানো হয়। পরে জানা যায়, সেই ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শীর্ষ আধিকারিকের পরিচিত। কোনও রকম অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রেকর্ডিং করছিলেন না তিনি। রেজিস্ট্রারের কথায়, সেই ছাত্রকে থানা থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভোট শেষে উপাচার্য এক প্রেস বিবৃতি দিয়ে জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট মিটেছে। যাদবপুরের সংস্কৃতিকে মাথায় রেখে সব পক্ষ কাজ করেছে। অন্যান্যবারের মতো এবারও এই বিশ্ববিদ্যালয় শান্তিপূর্ণ ভোটের নজির গড়ল।