রাজনীতিক ও পেশাদারদের ব্যস্ততা বাড়বে। বয়স্করা শরীর স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নিন। ধনযোগ আছে। ... বিশদ
স্বাস্থ্য দপ্তরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৭ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। গত ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাওয়ার এই প্রকল্পে যুক্ত হয়েছেন রাজ্যের সাড়ে সাত কোটি মানুষ। রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতালের সঙ্গে প্রকল্পভুক্ত ১৫০০ বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমেও স্বাস্থ্যসাথীর উপভোক্তারা চিকিৎসার সুযোগ পাবেন। স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে বিমার প্রিমিয়াম বাবদ বছরে ১২০০ কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। কিন্তু তা সত্ত্বেও বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমে ভর্তির সময় প্রত্যাখ্যাত হচ্ছিলেন গরিব-সাধারণ মানুষ। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্গাপুরে পশ্চিম বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে সরকারের কড়া অবস্থানের কথা জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার দৃপ্ত ঘোষণা, স্বাস্থ্যসাথীর রোগী ফেরালে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। প্রত্যাখ্যাত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিদান, সোজা পুলিসের কাছে যান, অভিযোগ জানান। অভিযোগ জানান বিডিও অফিসে। সেখান থেকে তা পৌঁছে যাবে স্বাস্থ্য দপ্তরে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই সব বেসরকারি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
শহর কলকাতায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য এই বিশেষ অভিযান কেন? স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার গরিব, দুঃস্থ, প্রান্তিক ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষকে আরও বেশি পরিষেবা দেওয়ার জন্য মোট ৩ লক্ষ ৭ হাজার ৭৭ পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করার টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কলকাতা পুরসভা এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৭৪৮ পরিবারকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বাকিদের আনা গেল না কেন? কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ২০১১ সালের সোশিও-ইকোনমিক কাস্ট সেন্সাস (এসইসিসি) অনুযায়ী স্বাস্থ্যসাথীর পরিবার বাছাই করতে গিয়ে দেখা যায়, বাকি দেড় লক্ষ পরিবারের কোনও হদিশ নেই। কারণ অনুসন্ধান করে জানা যায়, বহু পরিবার জীবন-জীবিকার তাগিদে কলকাতায় এসে বসবাস করলেও, পরে অন্যত্র পাকাপাকিভাবে চলে গিয়েছে। ওই আধিকারিকের কথায়, এরপর স্বাস্থ্য দপ্তরের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়, ২০১৪-’১৫ সালে দারিদ্রসীমার নীচে বসবাসকারী (বিপিএল) মানুষের সংশোধিত তালিকার ভিত্তিতে যে খাদ্যসাথী প্রকল্প এবং ডিজিটাল রেশন কার্ড তৈরি হয়েছে, সেই তালিকা অনুযায়ী শহর কলকাতায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে পরিবার অন্তর্ভুক্তির অনুমতি দেওয়া হোক। বিষয়টি নজরে আসে মুখ্যমন্ত্রীরও। তাঁরই নির্দেশে সেই অনুমতি দেওয়া হয়েছে কলকাতা পুরসভাকে। দ্রুতগতিতে এখন চলছে বাকি দেড় লক্ষ পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির কাজ। যা শেষ হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।