কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
এরপরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর কাকলির বাপের বাড়ির লোকেরা হাসপাতালের এক কোনে স্ট্রেচারে মেয়ের দেহ দেখতে পান। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা জানতে পারেন, যাঁরা কাকলিদেবীর দেহ নিয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন, তাঁরা অনেক আগেই সেখানে থেকে চলে গিয়েছে। কাকলিদেবীর এক আত্মীয়ের কথায়, গলা সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন দেখা গিয়েছে। আরজিকর হাসপাতালের চিকিৎসকরা প্রাথমিক পরীক্ষার পর জানান, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন কাকলিদেবী। যদিও ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ স্পষ্ট হবে। এরপরেই বুধবার সকালে নিউটাউন থানায় কাকলিদেবীর এক আত্মীয় শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বধূ নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার ধারায় মামলা রুজু করে কাকলিদেবীর স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কাকলিদেবীর আত্মীয় পুলিসকে আরও জানিয়েছেন, রাতে হাসপাতালে কাকলির দেহ যখন তাঁরা খুঁজে পায়, তখন শ্বশুর বাড়ির কেউ সেখানে ছিলেন না। বেশি রাতে কাকলির শ্বশুর বাড়িতে সেবিষয়ে খোঁজ করতে গিয়ে দেখতে পান সকলে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। এরপরেই দু’পক্ষের বাবানুবাদ হয়। প্রতিবেশীদের দাবি, কাকলি অসুস্থ হয়ে পড়েছে, তাই ডাক্তার দেখাতে নিয়ে যাচ্ছে, সেকথাই তাঁর স্বামী এবং শাশুড়ি সকলকে জানিয়েছিল। কিন্তু, বাড়িতে কী এমন ঘটেছিল যে কাকলিকে আত্মঘাতী হতে হল? তাঁর বাপের বাড়ির দাবি, প্রেম করে বিয়ে হলেও, বিয়ের পর থেকেই কাকলির সঙ্গে তাঁর স্বামী রথীনের রোজ ঝগড়া হত। এমনকী বিভিন্ন বিষয়ে স্ত্রীকে মারধর করত বলেও রথীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ কাকলির বাপের বাড়ির। এমনকী কাকলির সঙ্গে শাশুড়িরও ঝামেলা হত বলে তাঁদের দাবি।
কাকলির বাপের বাড়ির আরও দাবি, প্রতিবেশীদের থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাংস রান্না করার সময় স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া শুরু হয়। পরে শাশুড়ির সঙ্গেও কাকলির ঝগড়া শুনতে পান প্রতিবেশীরা। এরপরেই রাতে কাকলির পেট ব্যথা বলে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যান তাঁর স্বামী ও শাশুড়ি। পুলিস জানিয়েছে, কাকলির দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কাকলির পরিবারের পক্ষ থেকে শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তের পর কাকলির স্বামী এবং শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার আরও তদন্ত চলছে।