কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
তৃণমূলের তরফে ইতিমধ্যে প্রার্থী হতে আগ্রহীদের বায়োডেটা চেয়ে পাঠানো হয়েছে। গতবার কাউন্সিলার ছিলেন বা প্রার্থী ছিলেন—এরকম ব্যক্তিদেরও বায়োডেটা জমা দিতে বলা হয়েছে বলে শাসক দল সূত্রে খবর। দলের হাওড়া সদর জেলা অফিসে সেই বায়োডেটা জমা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের সমবায়মন্ত্রী অরূপ রায় জানান, আমরা প্রার্থী বাছাইয়ে পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির নাগরিককে গুরুত্ব দেব। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। যে পাঁচ বছর হাওড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পুরবোর্ড ছিল, সেই সময়কার উন্নয়ন এবং নাগরিক পরিষেবার মান দেখেই মানুষ তাঁদের ভোট দেবেন বলে দাবি অরূপবাবুর।
তৃণমূলের উন্নয়নই যে আসন্ন নির্বাচনে তাদের প্রধান ইস্যু হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অরূপবাবু। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল দেখলে শহরে বিজেপির ভোটবৃদ্ধি অবশ্যই তৃণমূলের উদ্বেগের কারণ। সেই বিজেপি আগে থেকেই পুরসভার নানা নাগরিক সমস্যা নিয়ে পথে নেমে পড়েছে। ইতিমধ্যে হাওড়া পুরভবনের সামনে তিনদিন হেল্প ডেস্ক খুলে নাগরিকদের অভিযোগ নথিভুক্ত করেছে তারা। সেগুলির নিরসন চেয়ে প্রশাসক বিজিন কৃষ্ণার সঙ্গে মঙ্গলবার দেখা করে বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাইয়ে বিজেপি বেশ কিছুদিন থেকেই তৎপর হয়েছে। দলের যুব মোর্চার হাওড়া সদর জেলার সভাপতি ওমপ্রকাশ সিং বলে, প্রত্যেক মণ্ডল থেকে তিনজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম পাঠাতে বলা হয়েছে। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির আবেদনকারীকে প্রাধান্য দেওয়া হবে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন দলের শীর্ষনেতারা।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা যুবনেতা সুমিত্র অধিকারী বলেন, আমাদের অন্যতম দাবি ছিল, হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডগুলির ডিলিমিটেশন না করে ভোট করা যাবে না। কিন্তু সেটাই হতে চলেছে। আমরা মানুষের কাছে গিয়ে বলব, ওয়ার্ডগুলির এলাকার পুনর্বিন্যাস না হলে হাওড়া শহরের সুষম উন্নয়ন সম্ভব নয়। কিন্তু, রাজ্য সরকার কোনও রাজনৈতিক স্বার্থে এবারও তা করল না। বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও তারা ইতিমধ্যে দলের নীচের তলায় আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন বলে জানান সুমিত্রবাবু।