কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
আবেদনকারীর তরফে আইনজীবী উদয়শঙ্কর চট্টোপাধ্যায় জানান, ছেলেটিকে এনডিপিএস আইনের যে ৩৭ ধারায় অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাতে জামিন পাওয়ার সুযোগ প্রায় নেই। যে কারণে এই আইনি ধারার যথেচ্ছ অপব্যবহার হয়ে থাকে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে বলে তিনি আদালতে দাবি করেন। সেই দাবির প্রেক্ষাপট হিসেবে তিনি আদালতকে জানান, ছেলেটি গুসকরা মহাবিদ্যালয়ে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু, সম্ভবত রাজনৈতিক রোষের বলি হয়ে এবার সে পরীক্ষায় বসতে পারেনি।
মামলার বয়ান অনুযায়ী, ভাতার থানা এলাকার এরুয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ঊনিশের চন্দ্রশেখর বাবা ও মা রাধারাণির সঙ্গে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কীর্তন অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। বিজেপি ও তার শাখা সংগঠনগুলির ডাকেও বেশকিছু অনুষ্ঠান তাঁরা করেছেন। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে তাঁদের বাড়িতে চড়াও হয় একদল দুষ্কৃতী। তাঁরা বাড়িছাড়া হন। থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু তার দিন সাতেক পরে স্থানীয় বাসিন্দা হাসমত সেখ চন্দ্রশেখর, তার বাবা ও আরও ২৯ জনের বিরুদ্ধে একইরকম অভিযোগ আনেন। সেই অভিযোগের জেরে ২৩ নভেম্বর চন্দ্রশেখরকে হাইকোর্ট আগাম জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু, সপ্তাহে একদিন থানার তদন্তকারী পুলিস অফিসারের কাছে তাকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
ওই আইনজীবী এদিন আদালতকে জানান, ২৯ নভেম্বর সে হাইকোর্টের নির্দেশমতো থানায় যায়। সেখানে তাকে আটকে রাখা হয়। পরে তাকে মাদক পাচারে অভিযুক্ত করা হয়। পুলিসি কাহিনী অনুযায়ী, বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই মাদক পাচারে অভিযুক্তকে চন্দ্রশেখরকে গ্রেপ্তার করার আগের দিন ধরা হয়েছিল। সেই ধৃতদের সঙ্গে চন্দ্রশেখরও ছিল। কিন্তু সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি পূর্ব মেদিনীপুরের এনডিপিএস আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করে। কিন্তু ওই নিম্ন আদালত নজর করেনি যে, মাদক পাচার বিরোধী অভিযানে পুলিস যাঁদের সাক্ষী করেছে, তাঁদের সকলেই পুলিস। কোনও নিরপেক্ষ সাক্ষীই নেই। দ্বিতীয়ত, অন্ধকার রাতে স্রেফ টর্চের আলোয় দূর থেকে দেখেই পুলিস কীভাবে তাকে চিহ্নিত করল, তার কোনও ব্যাখ্যাও নেই। তৃতীয়ত, আবেদনকারীর কাছ থেকে কোনও মাদক পুলিস পায়নি। তা সত্ত্বেও সরকারি আইনজীবী সঞ্জয় বর্ধন পুলিসি দাবিকে যথার্থ বলে দাবি করলেও আদালত তাতে সাড়া দেয়নি।