দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পরিবেশবিজ্ঞানীরা বলছেন, বাতিল মোবাইল, টিভি বা সিএফএল-এর মতো বর্জ্য সাধারণ জঞ্জালের থেকে অনেক বেশি বিপজ্জনক। মহানগরে এই বৈদ্যুতিন বর্জ্য নিয়ে নাজেহাল কলকাতা পুর প্রশাসনও। গেরস্থ বাড়ির জঞ্জালের মতো নিত্যদিনই এমন বৈদ্যুতিন বর্জ্য তৈরি হয়। কিন্তু সেই বর্জ্য থেকে কী কী বিপদ হতে পারে, তা নিয়ে প্রায় কারওরই সম্যক ধারণা নেই। পরিবেশ সংক্রান্ত একটি গবেষণা সংস্থার সমীক্ষায় উঠে এসেছিল, কলকাতার ৮৪ শতাংশ মানুষের এব্যাপারে কোনও ধারণা নেই। ৬৫ শতাংশ মানুষ বৈদ্যুতিন বর্জ্যকে বাতিল জিনিসের কারবারিদের কাছে বিক্রি করে দেন। অথচ বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরনের যন্ত্রপাতিতে সিসা, ক্যাডমিয়াম, পারদের মতো রাসায়নিক থাকে, যেগুলি মানবদেহে ঢুকলে যকৃৎ, কিডনি-সহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে নানা দুরারোগ্য ব্যাধি তৈরি করতে পারে। বৈদ্যুতিন বর্জ্য নিয়ে সচেতনতা না থাকায় যেভাবে এগুলি নষ্ট করা হয়, তাতে এই বিপদ আরও বাড়ছে বলেও দাবি করছেন তাঁরা। পরিবেশবিদদের মতে, বৈদ্যুতিন বর্জ্যের মধ্যে তামা, অ্যালুমিনিয়ামের মতো ধাতুও থাকে। তা সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য গরিব মানুষেরা কোনও সুরক্ষাকবচ ছা়ড়াই অবৈজ্ঞানিকভাবে সেগুলি ভাঙেন। ফলে বিষাক্ত রাসায়নিক তাঁদের শরীরে যেমন মিশছে, তেমনই পরিবেশেও ছড়িয়ে পড়ছে।
সূত্রের খবর, পরিসংখ্যান বলছে, ভারতের মোট ই-বর্জ্যের ৯.৮ শতাংশ তৈরি হচ্ছে এ রাজ্যে, যে ই-বর্জ্যের সংস্পর্শে লাগাতার থাকলে স্নায়ু, মস্তিষ্ক, ফুসফুস, যকৃৎ-সহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হয়। একটি বণিকসভা বেশ কিছুকাল আগে এক সমীক্ষা অনুযায়ী, বছরে ২০ লক্ষ টন বৈদ্যুতিন বর্জ্য তৈরি হয় ভারতে। তার মধ্যে মাত্র ৪.৩৮ লক্ষ টন সঠিক পদ্ধতিতে ‘রিসাইকল’ বা পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়। ভারতের কোনও রাজ্যেই এ ধরনের যথেষ্ট সংখ্যক ‘রিসাইক্লিং’ কেন্দ্র নেই। জঞ্জাল ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, বর্তমানে কলকাতার মোট ২৭টি ওয়ার্ডে বর্জ্যগুলি আলাদাভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছে। এর ফলে বৈদ্যুতিন বর্জ্যকে আলাদা করে নেওয়া হচ্ছে। এতে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে।