দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয় ও ব্যবসা থেকে অর্থাগম যোগ। প্রেমের প্রস্তাব পেতে পারেন। পুজো পাঠে মন। ... বিশদ
পুলিস আরও জানিয়েছে, ধৃতদের প্রত্যেকের ছোটখাটো নানা অপরাধমূলক কাজ করার পুরানো রেকর্ড রয়েছে। যাকে খুন করা হয়েছে, সেই সোনুও এদের সঙ্গেই অপরাধমূলক কাজকর্মে জড়িত ছিল। ১৬ তারিখ ভোররাতে খুন করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে ধৃতরা। ১৫ তারিখ বিহার থেকে হাওড়ায় এসেছিল সোনু। পুলিস জানিয়েছে, রীতিমতো পরিকল্পনা করে তাকে মৌড়িগ্রাম শ্মশানধার এলাকায় আনা হয়। প্রথমে পানীয়র সঙ্গে কিছু মিশিয়ে খাওয়ানো হয়। কিছুটা নিস্তেজ হয়ে পড়লে কাপড় বা ওইজাতীয় কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর যাতে সহজে না চেনা যায়, তা নিশ্চিত করতে একটি ভারী পাথর দিয়ে তার মুখ থেঁতলে দেয় দুষ্কৃতীরা। মৃতদেহের মুখ এতটাই বিকৃত ছিল যে তা দেখে কারও পক্ষে চেনা সম্ভব ছিল না।
ওই পুলিসকর্তা বলেন, মৃতদেহের ছবি আমরা বিহারের বাসিন্দা ওর স্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছিলাম। জামা এবং আঙুলের আংটি দেখে তিনি সোনুকে চিহ্নিত করেছেন। কিন্তু, ঠিক কোন সূত্রের মাধ্যমে খবর পেয়ে চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পারল পুলিস? এ প্রশ্নের জবাবে পুলিসকর্তা বলেন, বিহারের পাটনায় একজন হারিয়ে যাওয়ার খবর আমাদের কাছে ছিল। আমরাও এই যুবকের দেহ পাওয়ার কথা জানাই। এর বেশি কিছু তিনি বলতে চাননি তদন্তের স্বার্থে। খুনের নির্দিষ্ট সময় জানতে এবং আরও কিছু তথ্যের জন্য ময়না তদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করতে হবে।
যেভাবে থেঁতলানো অবস্থায় দেহ পাওয়া যায়, তার বীভৎসতা দেখে অনেকেই ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। ভারী পাথর দিয়ে মারা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছিল। তবে আগেই শ্বাসরোধ করে পরিচয় অস্পষ্ট করে দিতে পাথর মারা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস। ধৃতরা ইতিমধ্যে খুনের কথা স্বীকার করলেও ঠিক কী কারণে তারা এমনটা করল, তা জানা যায়নি। ধৃতদের সঙ্গে আরও কোনও দুষ্কৃতী সেদিন রাতে ছিল কি না, এরা কেনই বা হাওড়ার নানা জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকত—এসব প্রশ্নের জবাব পেতে তদন্ত চালানো হচ্ছে।