বাধা ও অসফলতার জন্য চিন্তা। মানসিক টানাপোড়েনের মধ্যে কোনও ভালো যোগাযোগ পেতে পারেন। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে রমেশের চারজন বন্ধু তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। সেই রাতে রমেশ আর বাড়ি ফেরেনি। শুক্রবার ভোরের দিকে আমতা থানা এলাকার ছোটপোল থেকে রমেশের মৃতদেহ উদ্ধার করে সেই থানার পুলিস। জানা গিয়েছে, রমেশের আরেক বন্ধু শ্যামল প্রামাণিক ওইদিন রাতে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতে তাকে গুরুতর জখম অবস্থায় উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শ্যামল কিছুটা সুস্থ হয়ে সেদিন রাতের ঘটনা খুলে বলে আত্মীয় পরিজনদের। সে রমেশের দুই বন্ধুর নাম বলে তখন। এরপরেই মঙ্গলবার দুপুরে এলাকাবাসী পলাশ এবং আকাশ দাস নামে রমেশের দুই বন্ধুকে আটকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে রাজাপুর থানার পুলিস দুই যুবককে উদ্ধার করতে যায়। গ্রামবাসীরা প্রথমে প্রবল বাধা দেন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে তখন। যে পুলিস প্রথমে এসেছিল, তার সামাল দিতে পারেনি। পরে বিশাল পুলিস বাহিনী এবং র্যা ফ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পুলিস ওই দুই যুবককে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেলেও সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করার কথা জানায়নি।
এদিকে, মৃত তরুণের কাকিমা লক্ষ্মী দোলুইয়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কোনও কাজের নাম করে পলাশ, রাজা এবং আকাশ রমেশ ও শ্যামলকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে তারা একসঙ্গে বসে মদ্যপানও করে। মদের সঙ্গে কিছু মিশিয়ে রমেশ ও শ্যামলকে খাইয়ে দেয়। শ্যামল কোনওভাবে বেঁচে গেলেও রমেশের মৃত্যু হয়। মৃত তরুণের পরিবারের আরও অভিযোগ, বন্ধুদের মধ্যে কোনও ব্যাপার নিয়ে রেষারেষি ও প্রতিহিংসা ছিল। তার জন্য দু’জনকেই মেরে ফেলার উদ্দেশ্য ছিল। রাজাপুর থানার পুলিস জানিয়েছে, এলাকা এখন শান্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা।