কর্মে অগ্রগতি ও নতুন কাজের বরাত প্রাপ্তি। আইটি কর্মীদের শুভ। মানসিক চঞ্চলতার জন্য বিদ্যাচর্চায় বাধা। ... বিশদ
আইওপি সূত্রের খবর, ৩ ফেব্রুয়ারি আইওপিতে দেখাতে এসেছিলেন হুগলির বাসিন্দা রমজান আলি ওস্তাগর। ৫৮ বছর বয়সি ওই ব্যক্তির বাড়ির লোকজন জানালেন, এনআরসি এবং সিএএ নিয়ে আতঙ্ক শুরু হওয়ার পর থেকে দু’চোখে ঘুম নেই রমজানের। কেমন উদভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন। শুধু তাই নয়, মনে সব সময়ই আশঙ্কা— কেউ জোর করে তাঁর সই নিয়ে নিচ্ছে।
আইওপি’র ডাক্তারদের তাঁর ভাই জানিয়েছেন, এইসব অদ্ভূত চিন্তার পর থেকে দাদার ঘুম চলে যায়। খাওয়া-দাওয়ায় রুচি নেই। সবসময়ই একটা নিরাশার ভাব। তাঁর জীবনটাই যেন মূল্যহীন। এরপরই বারবার নিজের গলা টিপে আত্মহত্যার চেষ্টা করতে থাকেন রমজান সাহেব। কোনওক্রমে তাঁকে ছাড়ানো হয়। পরপর এমন ঘটনা দেখে কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি বাড়ির লোকজন। সোজা রমজান সাহেবকে নিয়ে তাঁরা চলে আসেন হাসপাতালে।
অধিকর্তা প্রদীপবাবু বলেন, এনআরসি আতঙ্কে বহু মানুষ সোজা হাসপাতালে চলে আসছেন। আমরা সাধ্যমতো শান্ত করার চেষ্টা করছি। কাউন্সেলিং করছি। রমজান সাহেবকে দেখেছি। আরও অন্তত দু’জন রোগীকে আমিই দেখেছি। আমাদের ইনস্টিটিউটের বাকিরাও প্রচুর সংখ্যায় এ ধরনের রোগী পাচ্ছেন।
আইওপি সূত্রের খবর, অনেকে আত্মহত্যার কথা ভাবছেন, কেউ কেউ চেষ্টা পর্যন্ত করছেন। এছাড়া বড় যে সমস্যা দেখা যাচ্ছে তা হল, এই আতঙ্কে বহু মানুষই তীব্র অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন। জীবনের অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না। ঘুমের মধ্যে কাগজ খুঁজে বেড়াচ্ছেন। চিৎকার করছেন, ঘরের পুরনো দলিল-দস্তাবেজ ওলটপালট করে দিচ্ছেন। পরিচয়পত্র থাকলেও ভিটা হারানোর ভয় পাচ্ছেন— এমন অজস্র ঘটনা ঘটছে।
এমনই এক রোগী ডাক্তারদের জানিয়েছেন, তাঁর ভালো ঘুম হচ্ছে না। প্রচুর খুঁজেও জন্মের কাগজপত্র পাচ্ছি না। পূর্বপুরুষের কাগজপত্র পাচ্ছি না। আমার কী হবে, পরিবারের কী হবে? খাওয়া দাওয়া করে লাভ কী? কিছুই ভালো লাগছে না আমার। ডাক্তারবাবু আমাকে বাঁচান!