কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রিমা গাইঘাটার আংরাইল বিদ্যামন্দির উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। রবিবার স্থানীয় এক বাসিন্দার থেকে ছাত্রীর মা জানতে পারেন মেয়ে স্কুলে কোনও সমস্যা করেছে। সেকারণে তাঁকে স্কুলে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা শুনে তিনি সোমবার স্কুলে যান। তিনি স্কুলের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর স্কুলের অফিসঘরে ওই ছাত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়। বেশ কিছু সময় পর ছাত্রী ও তার মা অফিসঘর থেকে বের হন। এরপর বাড়ি ফিরে স্কুল পোশাক পরেই সে আত্মঘাতী হয়। এই খবর এলাকায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া একাদশ শ্রেণীর পড়ুয়া দেবাশিস ঘোষ, আল্পনা কীর্তনীয়া, মধুমিতা রায় সহ অন্যরা বলেন, রবিবার প্রতিবেশীদের কাছ থেকে রিমার মা শোনেন, স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে সাসপেন্ড করেছে। সোমবার তিনি স্কুলে আসেন। উনি মেয়েকে নিয়ে স্কুলের স্টাফরুমে যান। কিছুক্ষণ সময় পর রিমা কাঁদতে কাঁদতে স্টাফরুম থেকে বের হয়। এরপর বাড়ি ফিরেই গলায় দড়ির ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করে। আমরা প্রকৃত কারণ জানতে চাই। কিন্তু, স্কুলের শিক্ষকরা কোনও কিছুই বলছেন না। স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক বাসুদেব ঘোষ বলেন, স্কুল থেকে রিমার অভিভাবকদের ডেকে পাঠানো হয়নি। নিজের ইচ্ছেতেই ওই ছাত্রীরা মা স্কুলে এসেছিলেন। ওই ছাত্রীর ব্যবহার ও পড়াশুনায় ভালো। আমরা তার মায়ের কাছেও প্রশংসা করেছি। বাড়িতে যাওয়ার পর পারিবারিক কোনও সমস্যা ঘটেছিল কি না তা আমরা জানি না। তবে এই ঘটনায় আমরা মর্মাহত। এদিন স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য আমরা ব্যস্ত ছিলাম। এর মধ্যেই একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখিয়েছে। ভুল বুঝে হয়ত ছাত্রছাত্রীরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে।