কর্মে শুভ। নতুন কর্মপ্রাপ্তি বা কর্মসূত্রে দূররাজ্য বা বিদেশ গমন হতে পারে। আনন্দানুষ্ঠানে যোগদান ও ... বিশদ
অপরাজেয় সাউথ পয়েন্ট স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র। অনেক দিন ধরেই সে হেদুয়ার ন্যাশনাল সুইমিং আসোসিয়েশনে সাঁতার শিখছে। স্কুলভিত্তিক বিভিন্ন সাঁতার প্রতিযোগিতায় পুরস্কারও জিতেছে। এমনকী জাতীয় স্তর থেকেও পুরস্কার নিয়ে এসেছে। তাঁরা বাবা সন্দীপ বসুর বক্তব্য, শনিবার ক্লাবে যায় তাঁর ছেলে। ওই সময় প্রশিক্ষক প্রদীপ বসাকের তত্ত্বাবধানে কেবল ফিজিক্যাল ফিটনেস-এর ট্রেনিং চলছিল। তাঁর ছেলে যে ম্যাটটি নিয়ে গিয়েছিল, সেটি অপরিষ্কার ছিল। প্রদীপবাবু জানতে চান, কেন সে নোংরা ম্যাট নিয়ে এসেছে। অভিযোগ, তারপরই আচমকা ছেলের কানে সপাটে চড় কষিয়ে দেন ওই প্রশিক্ষণ। কিছুক্ষণ বাদেই বমি করে অপরাজেয়। তারপর সে বাড়ি ফিরে আসে। কিছুক্ষণ পর আবার বমি হয় এবং মাথা ও কানে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয়। দেখা যায়, তার কানের ভিতরে ক্ষত রয়েছে এবং সেখান থেকে তরল জাতীয় কিছু গড়িয়ে পড়ছে। বমি বন্ধ না হওয়ায় তিনি ছেলেকে নিয়ে যান মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে সিটি স্ক্যান সহ অন্যান্য পরীক্ষা হয়। এরপর তাঁকে পাঠানো হয় চক্ষু বিভাগে। সেখানে পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে চোখের শিরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দৃষ্টিশক্তিও কমে এসেছে। সোমবার ফের তার চোখ পরীক্ষা করা হয়। চিকিৎসকরা জানান, জোরালো আঘাতের ফলেই তাঁর চোখের ক্ষতি হয়েছে। এরপর সোমবার রাতে ওই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন সন্দীপবাবু। তার ভিত্তিতে মারধরের মামলা রুজু হয়েছে।
অপরাজেয়র পরিবারের অভিযোগ, শনিবার এতবড় ঘটনা ঘটলেও ক্লাবের তরফে বিষয়টি নিয়ে কেউ খোঁজখবর করেননি। এমনকী ফোন পর্যন্ত করেননি। পুলিসে অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর ক্লাবকর্তারা বুঝতে পারেন, ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। সোমবার রাতে তড়িঘড়ি সন্দীপবাবুর বাড়িতে হাজির হন ক্লাবের সদস্যরা। ক্ষমাও চেয়ে নেন সদস্যরা। এবিষয়ে বক্তব্য জানতে চেয়ে ক্লাবের সম্পাদক সনৎ ঘোষকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, একটি অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। অভিযুক্ত প্রশিক্ষককে বাঁচাতে তাঁর বক্তব্য, থাপ্পড় গালে মারা হয়েছিল। কোনওভাবে তা কানে লেগে গিয়েছে। ওই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া বা তাঁকে বরখাস্ত করা হচ্ছে কি না, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি। তবে এই প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ নতুন নয়। ক্লাব সূত্রে খবর, একই ধরনের ঘটনা বারবার ঘটিয়েও তিনি পার পেয়ে যাচ্ছেন। অভিযোগ, আসলে ক্লাবের একাংশের পছন্দের হওয়ায় এই ঘটনার পরেও তাঁকে বাঁচাতে উঠেপড়ে লেগেছেন ক্লাবের সম্পাদক থেকে কর্তাদের একাংশ।