গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
নজরুল মঞ্চে সোফিয়াকে নিয়ে হয় এই অনুষ্ঠান। মঞ্চে এই রোবটের আগমন ছিল চমকপ্রদ। অন্ধকার পরিবেশে গম গম করছে আবহসঙ্গীত। প্রবল ধোঁয়ার মধ্যে দিয়ে বঙ্গ তনয়ার সাজে উদয় হল সোফিয়া। পরনে লাল ব্লাউজ এবং লাল-সাদা ছাপা শাড়ি। হল ভর্তি দর্শক দেখে হাত নেড়ে সবাইকে স্বাগত জানাল সোফিয়া। আর তাকে দেখে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়লেন ছাত্রছাত্রীরা। একটি রোবট কীভাবে প্রশ্নের উত্তর দেয়, তা জানার জন্য প্রত্যেকেই ব্যাকুল হয়ে পড়ছিলেন। অবশেষে যখন এই মানব সাদৃশ্য রোবট কথা বলা শুরু করল, সবাই তখন অবাক।
প্রকাশ্যে আসার পর সঞ্চালকরা সোফিয়াকে কলকাতার আসার অভিজ্ঞতা নিয়ে দু’-চার কথা বলতে বলেন। কোনওরকম রাখঢাক না রেখেই ই-রোবট বলে ওঠে, এখানে এসে আমার বেশ ভালো লাগছে। কারণ এটি নোবেলজয়ী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জায়গা। এছাড়াও তার বক্তব্যে উঠে আসে মাদার টেরিজার প্রসঙ্গও। কলকাতায় কোন জায়গায় যেতে পছন্দ করবে সে? এই প্রশ্নের উত্তরে সোফিয়া জানিয়ে দেয়, এখানে এমন বহু জায়গা আছে, তার মধ্যে থেকে একটিকে বেছে নেওয়া কঠিন। তবে কবিগুরুর বাড়ি যাওয়ার ইচ্ছা তার। এছাড়াও একাধিক বিষয়ের উপর সোজাসাপ্টা উত্তর দিল চার বছর বয়সি সোফিয়া। সে জানায়, তার মানবজাতিকে বেশিরভাগ সময়ে ভালো লাগলেও, কিছু ক্ষেত্রে তারা অদ্ভূত প্রশ্ন করে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিরা। ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর গৌতম রায়চৌধুরী, বিশিষ্ট চিকিৎসক সুকুমার মুখোপাধ্যায়, কুণাল সরকার, আইআইটি, এনআইটি’র অধ্যাপক প্রমুখ। তাঁরাও সোফিয়ার কাছে প্রশ্ন রাখেন। যেমন কুণালবাবু তাকে জিজ্ঞাসা করেন, সে কোথা থেকে এসেছে? রোবট জানিয়ে দিল, তার জন্ম হংকংয়ের ল্যাবরেটিতে। এখন তার বেশিরভাগ সময় কাটে লস অ্যাঞ্জেলেসে। দর্শকদের মধ্যে থেকেও রকমারি প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয় সোফিয়ার উদ্দেশে। যেমন একজন তাকে জিজ্ঞাসা করেন, তার আই কার্ড আছে কি না? কারও আবার প্রশ্ন ছিল, সোফিয়া ক’টা ভাষা জানে। সে সব প্রশ্নেরই উত্তর দিল সপ্রতিভভাবে।
আগামীদিনে চিকিৎসা ব্যবস্থায় প্রযুক্তি বা রোবট কতটা সাহায্য করতে পারবে? সোফিয়া তার উত্তরে জানায়, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) আগামীদিনে চিকিৎসায় আরও উন্নত পরিষেবা দিতে পারবে। ক্যান্সার বা এইচআইভি’র মতো মারণ রোগ সারাতে এআই বড় ভূমিকা পালন করতে পারে। রোবটও চিকিৎসকদের নানাভাবে সাহায্য করবে।